ETV Bharat / state

অসহযোগিতার অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রশাসন তাঁদেরকে পর্যাপ্ত সাহায্য করছে না । পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে না ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 4:57 PM IST

Updated : Apr 25, 2020, 6:21 PM IST

কলকাতা, 25 এপ্রিল : রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত জারি । আজ ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রশাসন তাঁদের পর্যাপ্ত সাহায্য করছে না । তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে না । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মুখ্য সচিব প্রতিদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলছেন যে, রাজ্যের যে কোনও জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যেতে পারেন । কিন্তু রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে গিয়ে সময় নষ্ট করতে পারবেন না । মুখ্য সচিবের এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকাকে অবমাননা করা হচ্ছে ।

আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে । কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে মুখ্য সচিবের সামনে । চিঠিতে বলা হয় মুখ্য সচিব সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে গিয়ে সময় নষ্ট করতে পারবেন না । মুখ্য সচিবের এই ধরনের মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকাকে অবমাননা করে ।

  • পুলিশ সঙ্গে না থাকলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব কি রাজ্য সরকার নেবে ?
  • পুলিশের অনুপস্থিতিতে BSF জওয়ানরা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে থাকছেন । নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলে তাঁদের কি কোনও পদক্ষেপ করার অনুমতি রয়েছে ?
  • 21 এপ্রিল BSF গেস্ট হাউজ়ে এসে একজন DCP জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গেস্ট হাউজ় থেকে বেরতে পারবেন না । কারণ লকডাউন চলছে । যদি গেস্ট হাউজ় থেকে তাঁরা বের হন, তাহলে শুধুমাত্র বিমানবন্দর যাওয়ার অনুমতি রয়েছে । এটি কি ঠিক ?
  • কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কখনও কি বলেছে যে, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে থাকতে হবে । এমনকি গতকালের পরিদর্শনেও কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে শুধুমাত্র একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন ।
  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিনিধি দল যখন কোনও হাসপাতাল বা অন্য জায়গা পরিদর্শনে যাচ্ছে তখন তাঁদের PPE প্রদান করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ।
  • 22 এপ্রিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত দশটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল । কোয়ারানটিন সেন্টার, অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ, ত্রাণ শিবিরগুলির পরিকাঠামো এবং লকডাউন কার্যকর করার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছিল । 23 এপ্রিল এনিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি প্রেজেন্টেশন বানায় । কিন্তু তার হার্ড কপিতে কেন্দ্রীয় দলের উল্লিখিত বিষয়গুলি ছিল না ।
  • চিঠির শেষের দিকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন নিয়ে, কেন্দ্রীয় সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরীপত্তা নিয়ে রাজ্য় কী পদক্ষেপ করছে তা যেন লিখিতভাবে জানানো হয় । সংবাদমাধ্যমে না বলে লিখিতভাবে জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে কেন্দ্রীয় সদস্যদের ।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, 20 এপ্রিল সকাল 10টা থেকে কলকাতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । এপর্যন্ত নানা ইশুতে রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে । কিন্তু একটি চিঠিরও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি । হাওড়ার নানা এলাকা, কোয়ারানটিন সেন্টার, বাজার এলাকা পরিদর্শন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে চিঠিতে লেখা হয়, ইতিমধ্যে হাওড়ার ডুমুরজোলা কোয়ারানটিন সেন্টার, সঞ্জীবন হাসপাতাল, সালকিয়ার কিছু এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে । সেখানকার পরিস্থিতি যেন খতিয়ে দেখে রাজ্য ।

কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত জারি ছিল । প্রথমে টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । বলেছিলেন, কোথাও না কোথাও এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করছে ৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠান তিনি । চিঠিতে লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের আগে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল চলে আসে কলকাতায় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টি রাজ্য যে ভালোভাবে নিচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেন মমতা। এদিকে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও ৷ তিনি বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঠিক কী কারণে রাজ্যে এসেছে, তা স্পষ্ট নয় । কারণ স্পষ্ট না করলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্যে ঘুরতে দেব না ।"এরপর গুরুসদয় রোডের গেস্ট হাউজ় থেকে কেন্দ্রীয় দলকে বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ।

তারপর মুখ্য সচিব স্বয়ং বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করেন । রাজ্যের তরফে প্রতিনিধি দেওয়ার কথাও বলা হয় । কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যের এলাকা পরিদর্শন শুরু হয় । আজ ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল।

কলকাতা, 25 এপ্রিল : রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত জারি । আজ ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য প্রশাসন তাঁদের পর্যাপ্ত সাহায্য করছে না । তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে না । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মুখ্য সচিব প্রতিদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলছেন যে, রাজ্যের যে কোনও জায়গায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যেতে পারেন । কিন্তু রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে গিয়ে সময় নষ্ট করতে পারবেন না । মুখ্য সচিবের এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকাকে অবমাননা করা হচ্ছে ।

আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে । কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে মুখ্য সচিবের সামনে । চিঠিতে বলা হয় মুখ্য সচিব সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে গিয়ে সময় নষ্ট করতে পারবেন না । মুখ্য সচিবের এই ধরনের মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকাকে অবমাননা করে ।

  • পুলিশ সঙ্গে না থাকলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব কি রাজ্য সরকার নেবে ?
  • পুলিশের অনুপস্থিতিতে BSF জওয়ানরা কেন্দ্রীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে থাকছেন । নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠলে তাঁদের কি কোনও পদক্ষেপ করার অনুমতি রয়েছে ?
  • 21 এপ্রিল BSF গেস্ট হাউজ়ে এসে একজন DCP জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গেস্ট হাউজ় থেকে বেরতে পারবেন না । কারণ লকডাউন চলছে । যদি গেস্ট হাউজ় থেকে তাঁরা বের হন, তাহলে শুধুমাত্র বিমানবন্দর যাওয়ার অনুমতি রয়েছে । এটি কি ঠিক ?
  • কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কখনও কি বলেছে যে, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে থাকতে হবে । এমনকি গতকালের পরিদর্শনেও কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে শুধুমাত্র একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন ।
  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিনিধি দল যখন কোনও হাসপাতাল বা অন্য জায়গা পরিদর্শনে যাচ্ছে তখন তাঁদের PPE প্রদান করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ।
  • 22 এপ্রিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত দশটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল । কোয়ারানটিন সেন্টার, অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ, ত্রাণ শিবিরগুলির পরিকাঠামো এবং লকডাউন কার্যকর করার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছিল । 23 এপ্রিল এনিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর একটি প্রেজেন্টেশন বানায় । কিন্তু তার হার্ড কপিতে কেন্দ্রীয় দলের উল্লিখিত বিষয়গুলি ছিল না ।
  • চিঠির শেষের দিকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন নিয়ে, কেন্দ্রীয় সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরীপত্তা নিয়ে রাজ্য় কী পদক্ষেপ করছে তা যেন লিখিতভাবে জানানো হয় । সংবাদমাধ্যমে না বলে লিখিতভাবে জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে কেন্দ্রীয় সদস্যদের ।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, 20 এপ্রিল সকাল 10টা থেকে কলকাতায় রয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । এপর্যন্ত নানা ইশুতে রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে । কিন্তু একটি চিঠিরও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি । হাওড়ার নানা এলাকা, কোয়ারানটিন সেন্টার, বাজার এলাকা পরিদর্শন নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে চিঠিতে লেখা হয়, ইতিমধ্যে হাওড়ার ডুমুরজোলা কোয়ারানটিন সেন্টার, সঞ্জীবন হাসপাতাল, সালকিয়ার কিছু এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে । সেখানকার পরিস্থিতি যেন খতিয়ে দেখে রাজ্য ।

কোরোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাত জারি ছিল । প্রথমে টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । বলেছিলেন, কোথাও না কোথাও এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আঘাত করছে ৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠান তিনি । চিঠিতে লেখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনের আগে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল চলে আসে কলকাতায় ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়টি রাজ্য যে ভালোভাবে নিচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেন মমতা। এদিকে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও ৷ তিনি বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ঠিক কী কারণে রাজ্যে এসেছে, তা স্পষ্ট নয় । কারণ স্পষ্ট না করলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রাজ্যে ঘুরতে দেব না ।"এরপর গুরুসদয় রোডের গেস্ট হাউজ় থেকে কেন্দ্রীয় দলকে বেরোতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ।

তারপর মুখ্য সচিব স্বয়ং বৈঠক করে বিষয়টির সমাধান করেন । রাজ্যের তরফে প্রতিনিধি দেওয়ার কথাও বলা হয় । কেন্দ্রীয় দলের রাজ্যের এলাকা পরিদর্শন শুরু হয় । আজ ফের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল।

Last Updated : Apr 25, 2020, 6:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.