কলকাতা, 2 আগস্ট: দেউচা-পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হলেন বুদ্ধিজীবীরা । তাঁদের বক্তব্য, লোকসভায় আলোচনা, কোল ইন্ডিয়ার বিভিন্ন দফতর এবং বিভাগের পর্যালোচনায় বলা হয়েছিল দেউচা-পাচামি অঞ্চলের কয়লাখনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যত অসম্ভব (Intellectuals Opposed Deucha Pachami)। অনেক বেশি অর্থ ও অতি উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন । বিপুল পরিমাণ খরচের সঙ্গে কয়লা উত্তোলনের অনুপাত একেবারেই অলাভজনক । তাই এই কয়লা খনি প্রকল্প অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে জনমত গড়ে তুলতে বুধবার গণ কনভেনশনের আহ্বান করা হয়েছে ।
মূলত বাম মনোভাব সম্পন্ন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন । তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আছেন, প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, শিল্পী ওয়াসিম কাপুর, কবি মন্দাক্রান্ত সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ একাধিক গুণীজন ৷ তাঁরা দেউচা-পাচামি প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন । এই দেউচা-পাচামি প্রকল্প হলে কী কী সমস্যায় পড়বেন আদিবাসীরা, এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা তুলে ধরবেন বলেও জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: দেউচা-পাচামি কয়লা খনির জন্য 260 জনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদে নিয়োগ
সংগঠিতভাবে তাঁরা বিবৃতিও জারি করেছেন । তাতে দাবি করা হয়েছে, দেউচা-পাচামি অঞ্চল-সহ বীরভূম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের জাতি, ধর্ম, ভাষা, মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে আদিবাসী, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে । প্রশাসনিক আধিকারিকদের ফিরে আসতে হয়েছে আদিবাসীদের আন্দোলনের মুখে পড়ে । অথচ রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে জমির বিনিময়ে বহু জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছে, পুনর্বাসনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে । তারপরও বিক্ষোভ আন্দোলন থামছে না দেউচা-পাচামি অঞ্চলে ।