কলকাতা, 3 এপ্রিল: কোরোনা নিয়ে আতঙ্কিত গোটা দেশ তথা রাজ্য । সারা দেশে জারি রয়েছে লকডাউন । বারবার মেনে চলতে বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব । এরই মধ্যে চিন্তা বাড়িয়ে দেয় কয়েকদিন আগে দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে জমায়েত । জামাতিদের খুঁজে বের করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে প্রশাসনকে । তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে । ফলে তৈরি হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা । তার পরেও শিক্ষা হয়নি মানুষের । গতকাল রাত পর্যন্ত অনেক মানুষ এসেছেন গিরিশ পার্কের রাম মন্দিরে । অভিযোগ, আরতির সময় রীতিমতো ভিড় জমে যায় ।
দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনে ধর্মীয় সমাবেশে যোগদান করে রাজ্যে ফেরা প্রায় সকলকেই চিহ্নিত করে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে । তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে । কিন্তু এই রাজ্যে আসার পরেও তাঁদের ভ্রমণ ইতিহাস উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের । নবান্ন সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে রাজ্যে আসার পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন জেলায় একের পর এক স্থানীয় ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন । স্বাভাবিকভাবেই ওই সময় তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন বহু মানুষ । বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিউটাউনের হজহাউসে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে ২১৫ জনকে । তার মধ্যে নিজ়ামউদ্দিন থেকে আসা ধর্মপ্রচারক এবং সেখানকার অংশগ্রহণকারীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন যাঁরা এই ক’দিনে ওই ধর্মপ্রচারকদের সংস্পর্শে এসেছেন । এই তথ্য সামনে আসার পর আশা করা গিয়েছিল ধর্মীয় স্থানে আর হয়তো জমায়েত করবে না মানুষ । কিন্তু সমস্ত বাধা -নিষেধ অমান্য করেই গতকাল রাম নবমীতে গিরিশ পার্কের রাম মন্দিরে মানা হল না সামাজিক দূরত্ব । ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরে এবং রাতে রাম মন্দিরে সবথেকে বেশি ভিড় হয় । দুপুরে কলকাতা পুলিশের একজন সার্জেন্ট তৎপর হন সেই ভিড় সরিয়ে দেওয়ার জন্য । কিন্তু অনেকেই মন্দিরের সামনে থেকে সরে যেতে রাজি হননি । ভিড় থাকে অনেক রাত পর্যন্ত ।
তবে স্থানীয়দের অনেকে আবার বলছেন কিঞ্চিত অন্য কথা । তাঁদের কথায়, "ভিড় ছিল । তবে নিজ়ামউদ্দিনের মতো কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশ হয়নি ।"