কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : রাজ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে সম্প্রতি চারজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ৷ সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, তারা আগে কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন আর তারা কেউ কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত নেই ।
সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে এখন কারওর পেট্রল পাম্প রয়েছে । কেউ কেউ আবার সিনেমাতেও নিজেদের টাকা খাটিয়েছেন । আর এখানেই সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কয়লা পাচারের টাকা কি তাহলে বেআইনিভাবে সিনেমা তৈরির কাজেও লাগানো হয়েছিল? সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা মনে করছেন, বেআইনি কয়লা পাচারের ফলে খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়া সম্ভব । ফলে প্রথমে কয়লা পাচার ও পরে সেই বেআইনি কারবার ছেড়ে নিজেদের মুনাফার টাকা সিনেমায় খাটানো খুব একটা কঠিন কাজ নয় ।
আরও পড়ুন : Subhankar Bala : ভাল পোস্ট নয়, ভাল মানুষ হতে চান হবু আইএএস শুভঙ্কর
সিবিআই-য়ের একটি সূত্রের খবর, রাজ্যের মধ্যে কয়লা পাচারকাণ্ডে এই প্রথম তাদের হাতে ধরা পড়ল চারজন ৷ ফলে, তদন্তের গোটা প্রক্রিয়াটা খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা । তাঁদের মতে, এই চার অভিযুক্তকে আরও ভাল করে জেরা করা অত্যন্ত প্রয়োজন । সিবিআই মূলত জানতে চাইছে, কারা কারা এই কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল কি না? এই সমস্ত কিছুই জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা ।
ইতিমধ্যেই দিল্লির সদর দফতর থেকে সিবিআইয়ের একটি দল এসে জেরা করেছে ধৃত চারজনকে । রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ধৃতদের নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা । সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে শুধু যে কয়লা মাফিয়ারাই জড়িত তেমনটা নয়, এর সঙ্গে রেল, রাজ্য পরিবহণ দফতর, হাইওয়ে পেট্রোলিং বিভাগের একাধিক আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারও যুক্ত রয়েছেন । ফলে গোটা ঘটনার যবনিকাপতন করার জন্য ধৃত এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ।
ইতিমধ্যেই ধৃত জয়দেব মণ্ডলকে জেরা করে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, মূলত বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ট্রেন থামিয়ে কয়লা রেল লাইনের চারধারে ফেলে দিত লালা ওরফে অনুপ মাঝির লোকেরা । পরে তা জাতীয় ও রাজ্য সড়ক হয়ে তা ছড়িয়ে যেত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ।