কলকাতা, 8 মার্চ : করোনা আবহে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জাল স্ট্যাম্প পেপারের রমরমা কারবার ৷ যার ফলে কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ঢোকার পরিবর্তে ঢুকছে অপরাধীদের পকেটে ৷ শহরের অলিগলি থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে এই জালি কারবার ৷ পুলিশ সূত্রে দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-ই এই চোরা কারবারির মূল ঘাঁটি ৷
সাধরণত বিভিন্ন আদালত চত্বরেই স্ট্যাম্প পেপার পাওয়া যায় ৷ জমি, বাড়ি, দলিল সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে এই স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করা হয় ৷ আর এথেকেই সরকারের বিপুল রাজস্ব আয় হয় ৷ কিন্তু বর্তমানে এই স্ট্যাম্প পেপার জালিয়াতির কারণে সরকরের রাজস্বে ভাটা পড়ছে ৷ এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কৌশিক দত্ত বলেন," স্ট্যাম্প পেপার জালিয়াতি মূলত দুই ভাবে হয় । প্রথমত, গোটা স্ট্যাম্প পেপারই নকল হয় ৷ দ্বিতীয়ত , কিছু মানুষ স্ট্যাম্প পেপার জমিয়ে রেখে দেয় ৷ পরে সংকটকালে স্ট্যাম্প পেপার বিক্রি করে সেগুলির কালোবাজারি শুরু করে ৷ "
আরও পড়ুন : আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে পুলিশের জালে দুই কারবারি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগের একজন শীর্ষ আধিকারিক জানান, জাল স্ট্যাম্প পেপার শহরের আনাচে-কানাচে ছেয়ে গিয়েছে ৷ যার মূল কেন্দ্র ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ৷ গত বছর অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ পাশাপাশি উত্তর 24 পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে একাধিক স্ট্যাম্প পেপার তৈরির সরঞ্জামসহ ছাপার মেশিন উদ্ধার করেছিল সিআইডি । ভবানী ভবনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, যখন যেভাবে পুলিশের কাছে খবর আসে , সে অনুযায়ী তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ৷