কলকাতা, 20 ডিসেম্বর : লেদার কমপ্লেক্স থানার পরিত্যক্ত আবাসন থেকে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার মৃতার স্বামী ৷ 2 ডিসেম্বর অনিতা হাওলাদার (30) নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করে ৷ তদন্তে নেমে সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটকপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রাজু লস্কর নামে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করে লেদার কমপ্লেক্স থানার (kolkata leather complex police station) পুলিশ ৷ অন্যত্র পালানোর ছক ছিল তার ৷ তার আগেই পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ তাকে জেরা করতেই স্ত্রী অনিতা হাওলাদারকে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত স্বামী (Husband Killed Wife) ৷ স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে তাকে খুন করেছে (husband confesses to killing wife) বলে জানায় ধৃত রাজু ৷
অনিতার দেহ ময়নাতদন্তের পরই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । কেএলসি এলাকায় প্রবেশ পথে যেসব রাস্তা রয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখতেই কেএলসির এক নম্বর গেটের কাছে একটি ফুটেজ পুলিশের হাতে আসে । সেখানে দেখা যায়, 29 নভেম্বর ওই মহিলা কানে ফোন দিয়ে কেএলসি এলাকায় প্রবেশ করছেন । এরপরই তদন্তকারী অফিসাররা 'টাওয়ার ডাম্পিং' সিস্টেমের সাহায্য নিয়ে কেএলসি এলাকার দেড় হাজার ফোনের মধ্যে থেকে ওই মহিলার ফোন চিহ্নিত করেন ৷ শেষে একের পর এক সূত্র ধরে খুনিকে গ্রেফতার করে লেদার কমপ্লেক্স থানা ৷
ডিসি ইস্ট গৌরবলাল জানান, পুলিশি জেরায় রাজু জানিয়েছে সে ভাঙড়ের বাসিন্দা ৷ আগের স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর জীবনতলার বাসিন্দা অনিতা হাওলাদারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও বিয়ে হয় ৷ একটি সন্তানও রয়েছে তাদের ৷ স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় বেশ কয়েকমাস ধরে বাগুইআটিতে থাকতেন অনিতা ৷ রাজুর দাবি, স্ত্রী অনিতা অন্তত সাতজন পুরুষের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন । এমনকি কয়েকদিন আগে প্রেমিকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে'র অডিও তাকে ফোন করে শোনান স্ত্রী । এরপরই রাগে তার মাথায় খুন চেপে বসে । দেখা করার জন্য 29 নভেম্বর বিকালে স্ত্রী অনিতাকে কেএলসি এলাকায় একটি নির্জন আবাসনে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ।
আরও পড়ুন : Bansdroni murder case: বাঁশদ্রোণীতে পরকীয়া লুকোতে প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে খুন করায় যুবতী