কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল নেটওয়ার্কের গভীরতম স্টেশন হাওড়ার কাজ প্রায় শেষের মুখে । এ বার চলছে সাজসজ্জা এবং ইলেকট্রিকের কাজ । শুরু হয়েছে এএফসি-পিসি গেট (AFC-PC) বসানোর কাজ । এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে, অপেক্ষা আর মাত্র কিছুদিনের ।
প্রায় শেষের মুখে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ । এই বছরের শেষের দিকেই চালু হয়ে যাবে ওই অংশের যাত্রী পরিষেবা । তাই সেই লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কাজ চালাচ্ছে পুরোদমে ।
হাওড়া মেট্রো স্টেশনের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন নজর রাখা হচ্ছে যাত্রী সুরক্ষার দিকে, অন্যদিকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সমস্ত খুঁটিনাটির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে । কারণ এই স্টেশনটি একবার চালু হয়ে গেলে হাওড়া রেল স্টেশনে যাতায়াতের জন্য হাওড়া মেট্রোই হবে সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম । তাই প্রতিদিন এই স্টেশনে যাত্রী ভিড় হবে ব্যাপক পরিমাণে ।
হাওড়া মেট্রো স্টেশনে অটোম্যাটিক ফেয়ার কালেকশান অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার কন্ট্রোল সিস্টেম বা এএফসি-পিসি গেট বসানো চলছে । এই গেটগুলি কঙ্কর্স লেভেলে বসানো হচ্ছে । যাত্রী ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সব মিলিয়ে 32টি এই ধরনের গেট বসতে চলেছে । গ্রিন লাইনে যতগুলি মেট্রো স্টেশন রয়েছে, তার মধ্যে হাওড়া স্টেশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এই ধরনের গেট বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ।
আরও পড়ুন: দিনের ব্যস্ত সময়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ মেট্রো, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা
মোট গেটের মধ্যে 20টি গেট দ্বিমুখী হবে । অর্থাৎ ওই গেটগুলি দিয়ে ঢোকা এবং বেরোনো দুই ব্যবস্থাই থাকবে । এর ফলে দিনের সব থেকে ব্যস্ত সময়ে একই গেট দিয়ে যাতে অনেক বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন । দ্বিমুখী হওয়ার ফলে মেট্রো কর্মীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা হবে । এই 20টি দ্বিমুখী গেটের মধ্যে দুটি গেট বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য চিহ্নিত করা থাকবে, যাতে তাঁরা সহজেই হুইলচেয়ার নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন । তবে এই গেটগুলি বাকি যাত্রীরাও ব্যবহার করতে পারবেন ।
পাশাপাশি বাকি 12টি গেটের মধ্যে 6টি গেট দিয়ে শুধুমাত্র প্রবেশ করা এবং বেরোনো যাবে । একবার পরিষেবা চালু হলে সেইভাবেই চিহ্নিত করা হবে ওই ছয়টি গেট । প্রতি মিনিটে এই গেট দিয়ে বেরোতে এবং প্রবেশ করতে পারবেন 45 জন যাত্রী । এই গেটের সঙ্গেই থাকছে কুইক রেসপন্স (QR) কোড স্ক্যান করার যন্ত্র, যাতে খুব সহজেই যাত্রীরা টোকেন বা টিকিটের উপরে থাকা বার কোডটি স্ক্যান করে নিতে পারেন । এর ফলে সময়ও লাগবে অনেক কম এবং যাত্রীদের ভিড়ও এড়ানো যাবে ।
প্রসঙ্গত, গ্রিন লাইন অর্থাৎ হাওড়া ময়দান থেকে প্রস্তাবিত তেঘরিয়া হলদিরাম পর্যন্ত লাইনটি গভীরতম স্টেশন হচ্ছে হাওড়া মেট্রো স্টেশন ৷ এটি মাটির থেকে 35 মিটার নীচে অবস্থিত ।