ETV Bharat / state

বিপর্যয়ের দায় নেতৃত্বের, উত্তপ্ত সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক - সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক

ভোটের পরে এটাই ছিল প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক । নেতৃত্বের দিকে প্রথম থেকেই অভিযোগ এবং সমালোচনার ঝড় তোলেন বাকিরা । নিচু তলার নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন আব্বাস সিদ্দিকির ইণ্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা হয়েছিল তা নিয়ে বৈঠকের শুরুতেই তরজা হয় । জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কড়া সমালোচনার মধ্যে দিয়ে এদিন বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব । তাই বিপর্যয়ের দায় যে নেতৃত্বকেই নিতে হবে তা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন একাধিক জেলার নেতা ।

উত্তপ্ত সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক
উত্তপ্ত সিপিআইএম রাজ্য কমিটির বৈঠক
author img

By

Published : May 30, 2021, 8:35 AM IST

কলকাতা, 30 মে : সিপিআইএম রাজ্য কমিটি নেতৃত্ব শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করল । সেখানে সমালোচকদের জন্য হলুদ কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করা হলেও নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা শোনা গেল নেতৃত্বের মুখে । সংযুক্ত মোর্চার বাকি দুই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবে না বলে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আগেই সাফ জানিয়েছেন ।


বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় বিপর্যয়ে আঙুল যে নেতৃত্বের দিকেই উঠেছে তা শনিবার সন্ধ্যার রাজ্য কমিটির বৈঠকে পরিস্কার । তবে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমের দিকে বিপর্যয়ের দায় ঠেলতে গিয়ে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়নি এই বৈঠকে । দোষারোপের খেলায় ভার্চুয়াল বৈঠক কার্যত দিগভ্রষ্ট । বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা এবং বর্তমান বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিল সিপিআইএম । বিশেষ করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়েছে দল ৷


বিপর্যয়ের দায় নেতৃত্বের দিকে তুললেও শিক্ষা নিয়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা বদল করতে চাইছে সিপিআইএম । তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতা থেকে সিপিআইএম সরবে তা এই বৈঠক ইঙ্গিত দিয়েছে । সরকারের জনমুখী প্রকল্পের প্রতি সিপিআইএমের কটাক্ষ বুমেরাং হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । মানুষ রাজ্য সরকারের যে সকল প্রকল্প থেকে উপকৃত তার বিরোধিতা নয় । বরং ভিন্ন পথে নরম মনোভাব নিয়ে বিকল্পের সন্ধানে সাফল্য আসতে পারে বলে মনে করছে নেতৃত্ব ।


ভোটের পরে এটাই ছিল প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক । নেতৃত্বের দিকে প্রথম থেকেই অভিযোগ এবং সমালোচনার ঝড় তোলেন বাকিরা । নিচু তলার নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন আব্বাস সিদ্দিকির ইণ্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা হয়েছিল তা নিয়ে বৈঠকের শুরুতেই তরজা হয় । জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কড়া সমালোচনার মধ্যে দিয়ে এদিন বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব । তাই বিপর্যয়ের দায় যে নেতৃত্বকেই নিতে হবে তা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন একাধিক জেলার নেতা ।

আরও পড়ুন : দিল্লির বোকামিতে ইতিহাসে আলাপন


সমালোচনার ঢেউ আছড়ে পড়লেও রাজ্য নেতৃত্ব মাথা নত করতে রাজি নয় বলে বুঝিয়ে দিয়েছে । বরং বিধানসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে যে সমস্ত নেতা দল বিরোধী কথা বলেছিলেন তাঁদের মুখ খোলার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । তন্ময় ভট্টাচার্য প্রকাশ্যে পার্টির বিরোধিতা করেছিলেন । তাই তাঁকে তিন মাস মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে । বাকিরা পার্টির প্রকাশ্য সমালোচনা করলেও ব্যক্তিগতভাবে দোষ স্বীকার করে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে । তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।

কলকাতা, 30 মে : সিপিআইএম রাজ্য কমিটি নেতৃত্ব শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করল । সেখানে সমালোচকদের জন্য হলুদ কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা করা হলেও নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা শোনা গেল নেতৃত্বের মুখে । সংযুক্ত মোর্চার বাকি দুই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবে না বলে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র আগেই সাফ জানিয়েছেন ।


বিধানসভা নির্বাচনে অভাবনীয় বিপর্যয়ে আঙুল যে নেতৃত্বের দিকেই উঠেছে তা শনিবার সন্ধ্যার রাজ্য কমিটির বৈঠকে পরিস্কার । তবে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমের দিকে বিপর্যয়ের দায় ঠেলতে গিয়ে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করা হয়নি এই বৈঠকে । দোষারোপের খেলায় ভার্চুয়াল বৈঠক কার্যত দিগভ্রষ্ট । বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা এবং বর্তমান বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিল সিপিআইএম । বিশেষ করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল । কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়েছে দল ৷


বিপর্যয়ের দায় নেতৃত্বের দিকে তুললেও শিক্ষা নিয়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা বদল করতে চাইছে সিপিআইএম । তৃণমূল কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতা থেকে সিপিআইএম সরবে তা এই বৈঠক ইঙ্গিত দিয়েছে । সরকারের জনমুখী প্রকল্পের প্রতি সিপিআইএমের কটাক্ষ বুমেরাং হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । মানুষ রাজ্য সরকারের যে সকল প্রকল্প থেকে উপকৃত তার বিরোধিতা নয় । বরং ভিন্ন পথে নরম মনোভাব নিয়ে বিকল্পের সন্ধানে সাফল্য আসতে পারে বলে মনে করছে নেতৃত্ব ।


ভোটের পরে এটাই ছিল প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক । নেতৃত্বের দিকে প্রথম থেকেই অভিযোগ এবং সমালোচনার ঝড় তোলেন বাকিরা । নিচু তলার নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন আব্বাস সিদ্দিকির ইণ্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা হয়েছিল তা নিয়ে বৈঠকের শুরুতেই তরজা হয় । জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কড়া সমালোচনার মধ্যে দিয়ে এদিন বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব । তাই বিপর্যয়ের দায় যে নেতৃত্বকেই নিতে হবে তা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন একাধিক জেলার নেতা ।

আরও পড়ুন : দিল্লির বোকামিতে ইতিহাসে আলাপন


সমালোচনার ঢেউ আছড়ে পড়লেও রাজ্য নেতৃত্ব মাথা নত করতে রাজি নয় বলে বুঝিয়ে দিয়েছে । বরং বিধানসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে যে সমস্ত নেতা দল বিরোধী কথা বলেছিলেন তাঁদের মুখ খোলার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । তন্ময় ভট্টাচার্য প্রকাশ্যে পার্টির বিরোধিতা করেছিলেন । তাই তাঁকে তিন মাস মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে । বাকিরা পার্টির প্রকাশ্য সমালোচনা করলেও ব্যক্তিগতভাবে দোষ স্বীকার করে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে । তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.