কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা না দিলেও এবার পড়া যাবে ইঞ্জিনিয়ারিং । রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য নতুন সুযোগ উচ্চশিক্ষা দফতরের । তবে এজন্য অবশ্য একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে হবে । তবে এই সুযোগ পাওয়া যাবে শুধুমাত্র বেসরকারি কলেজগুলিতে ৷ সরকারি কোনও কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে পুরনো নিয়মে ভর্তি হতে হবে, মানে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের র্যাঙ্ক বাধ্যতামূলক । নতুন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর ।
উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে র্যাংক থাকা জরুরি । র্যাংক দেখেই কলেজগুলিতে ভর্তি হতে হয় পড়ুয়াদের । তবে এই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে তিন দফার কাউন্সেলিং করার পরেও একাধিক আসন ফাঁকা ছিল ৷ কেন এই অবস্থা দেখা গেল ? তার স্পষ্ট উত্তর অবশ্য কারও কাছে নেই ৷ স্বাভাবিকভাবেই উচ্চশিক্ষা দফতরের এই পদক্ষেপের পর প্রশ্ন উঠছে, সেই আসন ভর্তির জন্যই কি নয়া বিজ্ঞপ্তি ?

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, "পুরো দেশ তথা আমাদের রাজ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পর চাকরির সুবিধা অনেকটাই কম । সেটা দেখেই কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভর্তি হচ্ছে না । আমাদের সেই দিকটা বিবেচনা করতে হবে । তা না করে নতুন যে নির্দেশিকা সেটা বের করা হল, এই নির্দেশিকায় উচ্চমাধ্যমিকে কত নম্বর পেলে তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং নেওয়া যাবে, সেরকম কোনও মানদণ্ড ঠিক করে দেওয়া হয়নি ।’’
তাঁর ব্য়াখ্যা, ‘‘হয়তো কেউ বিজ্ঞান বিভাগে কম নম্বর পেয়েছেন, অন্য কোনও বিষয়ে অনেক ভালো নম্বর পেয়েছে । কিন্তু সে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছে, তাহলে কিন্তু তার মধ্যে বেশ কিছু অজানা থেকে যাবে । যা পরবর্তীকালে চাকরি পেতে অসুবিধা হয়ে যাবে । তখন ওই ছেলেটি কিন্তু বেকার হয়ে থাকবে । এই সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয় ।"

এই প্রসঙ্গে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনির্বাণ মিত্র বলেন,"অনেকের ইচ্ছা থাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ৷ কিন্তু র্যাঙ্ক কমে যাওয়ার জন্য অন্যদিকে চলে যায় । তখন তাঁদের ইচ্ছা না থাকলেও সেটা তাঁকে পড়তে হয় । এদিকে আমরা বুঝতে পারতাম সেটা পড়ার যোগ্যতা ওর মধ্যে আছে । তবে এই সুযোগ আসায় অনেকের কাছে এই দরজাটা খুলে গেল । কিন্তু হ্যাঁ সরকারি ক্ষেত্রে যে মাপকাঠি হচ্ছে বেসরকারি ক্ষেত্রেও তা হওয়া উচিত । নয়তো একটা বিভেদ থেকে যাবে । কারণ এরা সকলেই শেষে এসে একটা জায়গায়তেই মিলবে ।"
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসাতে 37 লক্ষ টাকা বরাদ্দ উচ্চশিক্ষা দফতরের