কলকাতা, 17 জুন : আদালতের ঘরের সামনেই মামলাকারীরা বসে পড়ায় এগিয়ে আনা হল কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানির দিন । এখন আর এক সপ্তাহ পরে নয়, কালই হবে মামলার শুনানি ।
আজ কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চ আরও এক সপ্তাহ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় । এর প্রতিবাদে কোর্ট রুম চত্বরের বাইরেই বসে পড়েন রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের দাবি, রায় না দিয়ে কেন বার বার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে মামলার শুনানি । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসে । আদালতের ঘরের সামনে থেকে উঠে যেতে বলে মামলাকারীদের । তাঁদের রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে যাওয়ার উপদেশও দেয় পুলিশ ।
এরপর পাঁচজনের একট প্রতিনিধি দল রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে গিয়ে তাঁদের দাবি জানায় । রেজিস্ট্রার জেনেরাল বিষয়টি বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যকে জানানোর আশ্বাস দেন । এরপরেই মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয় ।
২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধা তালিকা আদৌ প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, ইন্টারভিউয়ের তালিকা তৈরিতে 1: 1.4 রেশিয়ো মানা হয়েছিল কি না, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়েছিল কি না ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবছর 19 ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা । তাতে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় । পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে । এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে পালটা মামলার আবেদন জানায় রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । কিন্ত হাইকোর্ট সেই মামলার অনুমতি না দিয়ে মামলায় তাদের পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় ।
8 মার্চ হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় । তাতে বলা হয় রেকমেন্ডেশন লেটার ইনভ্যালিড করতে পারবে না কমিশন । পাশাপাশি ৬ সপ্তাহের জন্য নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত । এরপর রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা সিংগল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান । কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেয় । তারপর থেকে মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চে চলছে ।
আজ মামলার শুনানির পর বিচারপতি জানান, আগামী সোমবার তিনি আবার মামলাটি শুনবেন । আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হল । এই নির্দেশ শোনার পরই ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা কোর্টরুমের সামনেই বসে পড়েন ।