ETV Bharat / state

আদালতের ঘরের সামনেই বসে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা, এগোল শুনানির দিন - kolkata

শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ায় কোর্টের বাইরে বসে পড়লেন মামলাকারীরা । শুনানির দিন এগিয়ে আনল হাইকোর্ট ।

আদালতের বাইরে বিক্ষোভে মামলাকারীরা
author img

By

Published : Jun 17, 2019, 10:50 PM IST

কলকাতা, 17 জুন : আদালতের ঘরের সামনেই মামলাকারীরা বসে পড়ায় এগিয়ে আনা হল কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানির দিন । এখন আর এক সপ্তাহ পরে নয়, কালই হবে মামলার শুনানি ।

আজ কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চ আরও এক সপ্তাহ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় । এর প্রতিবাদে কোর্ট রুম চত্বরের বাইরেই বসে পড়েন রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের দাবি, রায় না দিয়ে কেন বার বার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে মামলার শুনানি । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসে । আদালতের ঘরের সামনে থেকে উঠে যেতে বলে মামলাকারীদের । তাঁদের রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে যাওয়ার উপদেশও দেয় পুলিশ ।

এরপর পাঁচজনের একট প্রতিনিধি দল রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে গিয়ে তাঁদের দাবি জানায় । রেজিস্ট্রার জেনেরাল বিষয়টি বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যকে জানানোর আশ্বাস দেন । এরপরেই মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয় ।

২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধা তালিকা আদৌ প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, ইন্টারভিউয়ের তালিকা তৈরিতে 1: 1.4 রেশিয়ো মানা হয়েছিল কি না, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়েছিল কি না ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবছর 19 ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা । তাতে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় । পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে । এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে পালটা মামলার আবেদন জানায় রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । কিন্ত হাইকোর্ট সেই মামলার অনুমতি না দিয়ে মামলায় তাদের পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় ।

8 মার্চ হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় । তাতে বলা হয় রেকমেন্ডেশন লেটার ইনভ্যালিড করতে পারবে না কমিশন । পাশাপাশি ৬ সপ্তাহের জন্য নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত । এরপর রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা সিংগল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান । কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেয় । তারপর থেকে মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চে চলছে ।

আজ মামলার শুনানির পর বিচারপতি জানান, আগামী সোমবার তিনি আবার মামলাটি শুনবেন । আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হল । এই নির্দেশ শোনার পরই ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা কোর্টরুমের সামনেই বসে পড়েন ।

কলকাতা, 17 জুন : আদালতের ঘরের সামনেই মামলাকারীরা বসে পড়ায় এগিয়ে আনা হল কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানির দিন । এখন আর এক সপ্তাহ পরে নয়, কালই হবে মামলার শুনানি ।

আজ কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশের সময়সীমা বাড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চ আরও এক সপ্তাহ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় । এর প্রতিবাদে কোর্ট রুম চত্বরের বাইরেই বসে পড়েন রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । তাঁদের দাবি, রায় না দিয়ে কেন বার বার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে মামলার শুনানি । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসে । আদালতের ঘরের সামনে থেকে উঠে যেতে বলে মামলাকারীদের । তাঁদের রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে যাওয়ার উপদেশও দেয় পুলিশ ।

এরপর পাঁচজনের একট প্রতিনিধি দল রেজিস্ট্রার জেনেরালের কাছে গিয়ে তাঁদের দাবি জানায় । রেজিস্ট্রার জেনেরাল বিষয়টি বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যকে জানানোর আশ্বাস দেন । এরপরেই মামলার শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয় ।

২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মেধা তালিকা আদৌ প্রকাশ করা হয়েছিল কি না, ইন্টারভিউয়ের তালিকা তৈরিতে 1: 1.4 রেশিয়ো মানা হয়েছিল কি না, সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়েছিল কি না ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবছর 19 ফেব্রুয়ারি মামলা দায়ের করেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা । তাতে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় । পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে । এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে পালটা মামলার আবেদন জানায় রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা । কিন্ত হাইকোর্ট সেই মামলার অনুমতি না দিয়ে মামলায় তাদের পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয় ।

8 মার্চ হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয় । তাতে বলা হয় রেকমেন্ডেশন লেটার ইনভ্যালিড করতে পারবে না কমিশন । পাশাপাশি ৬ সপ্তাহের জন্য নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত । এরপর রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা সিংগল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান । কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দেয় । তারপর থেকে মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিংগল বেঞ্চে চলছে ।

আজ মামলার শুনানির পর বিচারপতি জানান, আগামী সোমবার তিনি আবার মামলাটি শুনবেন । আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হল । এই নির্দেশ শোনার পরই ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা কোর্টরুমের সামনেই বসে পড়েন ।

Intro:কেন বার বার স্থগিতাদেশের নির্দেশ। রায় দিচ্ছেন কেন বিচারপতি। কোর্ট রুমের বাইরেই বসে পড়লেন রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থী। Body:মানস নস্কর---

কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ বাড়লো আরো এক সপ্তাহ, ক্ষুব্ধ রেকমেন্ডেশন লেটার পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা বসে পড়লেন কোর্ট রুমের বাইরেই

কলকাতা ১৭ জুনঃ
কর্মশিক্ষা শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর আরো এক সপ্তাহের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে। কিন্ত কেন আরো একসপ্তাহ বাড়ানো হল স্থগিতাদেশের সময়সীমা সেই প্রশ্ন তুলে রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা নজীরবিহিন ভাবে কোর্ট রুম চত্তরের বাইরেই বসে পড়লো।বেলা একটা দশ মিনিট থেকে শুরু হয় এই অবস্থান। পুলিশ তো যারপরনাই এই ঘটনায় অবাক।কারন পুলিশ যখন হবু শিক্ষকদের উঠে যেতে বলছে তখন তারা রীতিমতো কান্নকাটি শুরু করে দেয়।তাদের একটাই বক্তব্য বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য কেন কোন রায় না দিয়ে বার বার শুধু পিছিয়ে দিচ্ছে এই মামলার শুনানি। পুলিশ শেষে হবু শিক্ষকদের বলেন," আপনারা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জান তিনি কি বলেন দেখুন,আমরা কিন্ত আপনাদের এখানে বেশি সময় বশে থাকতে দেবোনা। কারন এভাবে বশে থাকা যায় না।"রেকমেন্ডেশন পাওয়া প্রার্থীরা তখন পাচ জনের একটা প্রতিনিধি দল করে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জান।রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান," তিনি অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিতেই বিষয়টি দেখার চেষ্টা করছেন। এবং তিনি বিষয়টি বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর কাছে জানাবেন।তবে তাদেরকে অবিলম্বে কোর্ট রুমের সামনে দরজা আগলে বসে থাকার থেকে উঠতে হবে।"রেকমেন্ডেশন পাওয়া প্রার্থীরা অবশ্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পর তারা কোর্ট চত্তর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।ইতিমধ্যে হাইকোর্টের মুল প্রবেশ দ্বারে এসে দেখা যায় পঞ্চাশ-ষাট জনের পুলিশ বাহিনী চলে এসেছে লালবাজার থেকে।

মুলত চলতি বছরের গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্ট আদৌ পাবলিশ করা হয়েছিল কিনা, ইন্টারভিউ লিস্টে ১ঃ১.৪রেশিও মেনে চলা হয়েছিল কিনা।পাশাপাশি ক্যাটেগরি কি ভাবে মেনটেন করা হয়েছে (মেল- ফিমেল) ও সংরক্ষণের নীতি, এই সমস্ত বিষয়কে চ্যলেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। তাতে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনাম দিতে নির্দেশ দেয় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। এবং পরবর্তী অর্ডার না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে নির্দেশ দেন তিনি।এরপর এই নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে পাল্টা মামলা করার আবেদন জানায় ইতিমধ্যেই রেকমেন্ডেশন পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।কিন্ত হাইকোর্ট মামলা করার অনুমতি না দিয়ে এদেরকে পার্টি হিসাবে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেয়।

মোট ২০০০মত প্রার্থীকে রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়ে দিয়েছেন ।নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছু প্রার্থীর দায়ের করা মামলায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।কিন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় মোট ৮০০জন রেকমেন্ডেশন লেটার পাওয়ার পরও যোগ দিতে পারেননি স্কুলে।গত ১২ মার্চ তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারা আবেদন জানিয়েছিলেন যে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানি চলছে সেই মামলায় যোগ দিতে।তাদের আবেদন মেনে ও নেয় হাইকোর্ট।তাদের রেকমেন্ডেশন লেটার ইনভ্যালিড করতে পারবে না কমিশন বলে ৮ মার্চ একটা নির্দেশ দেয়।পাশাপাশি ৬ সপ্তাহের জন্য নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট।এরপর এই চাকরিপ্রার্থী রা আবার বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান সিংগল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজের আবেদন জানিয়ে।কিন্ত ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেন। মুল মামলাটি মৌসুমি ভট্টাচার্যর সিংগল বেঞ্চেই শুনানি চলছে।
আজ মামলার শুনানির পর বিচারপতি জানান,আগামী সোমবার তিনি আবার এই মামলাটি শুনবেন। আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর যে স্থগিতাদেশ ছিল সেটা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হল।এই রায় শোনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা কোর্ট রুমের সামনেই বসে পড়েন।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.