কলকাতা, 19 জুন: মল্লিকবাজারে রাস্তার দু'ধারে বেআইনি দখল ঘিরে পথ চলতে সমস্যা ৷ সেই সমস্যা সমাধানে সোমবার বেআইনি দখল নিরসণে উচ্ছেদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, যারা বেআইনিভাবে জায়গা দখল করে রয়েছেন তাঁদের 10 দিনের সময় দিতে হবে কলকাতা পৌরনিগমকে ৷ তাতেও যদি কাজ না-হয়, তাহলে তিনদিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ৷
রাস্তার দু'ধারে সার দিয়ে দোকান ৷ অনেকে আবার জামাকাপড়, খাবার বিক্রি করছেন রাস্তার ওপরেই ৷ ফলে দৈনন্দিন জীবনে যানজটের মতো একটা বড় সমস্যার পড়তে হয় আমজনতাকে ৷ তেমনি সমস্য়ায় পড়তে হয় পথচলতি মানুষদেরও ৷ এই অবস্থায় বেআইনি হকার উচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল ৷ সোমবার সেই মামলা পর্যালোচনা করেই বিচারপতি এমন নির্দেশ দিয়েছেন ৷
পৌরনিগমের আইনজীবীর উদেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কোনও হকার কমিটি গঠন নেই। হকাররা রাস্তা আটকে বসে আছেন। বেআইনি দখল করে রাস্তা আটকে রাখাকে অনুমোদন দেওয়া যায় না। এর থেকে তাঁদের উচ্ছেদ করুন।" প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "মোটর বাজার হকারের মধ্যে পড়ে না। আদালতের নির্দেশে এখনও কোনও হকার কমিটি তৈরি করেনি রাজ্য । জুলাই মাসে মামলার শুনানি আছে। চেন্নাইতে 15-16 বছর আগে হকার কমিটি গঠন হয়েছে। এখানে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিয়ে হকার কমিটি গঠন করা যেত। এইভাবে রাস্তা অবরুদ্ধ হলে অ্যাম্বুল্যান্স যাতায়াত করবে কি করে? গাড়ি কি হেলিকপ্টারের মত যাবে?" মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, হকারদের 10 দিনের সময়সীমা দিতে হবে ৷ তাতেও যদি কাজ না-হয় তাহলে তিনদিনের মধ্যে তাঁদের উচ্ছেদ করবে কলকাতা পৌরনিগম ৷ যদিও পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশও রাস্তা দখলের কথা রিপোর্টে স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকর্মীরা তাঁদের ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করতেই পারেন, জানাল আদালত
প্রসঙ্গত, মামলাকারী ফইজন মহম্মদ জাফর দাবি করেছিলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু রোড, মল্লিক বাজারে দেখা যায় রাস্তার দু'দিক জুড়ে রয়েছে বেআইনি পার্কিং, গাড়ির বাজার। এতে যান চলাচলে অসুবিধা হয়। পাশেই নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দিনের পর দিন রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা, কিন্তু পৌরনিগমের কোনও হেলদোল নেই। জুলাই মাসে হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকর করা হয়েছে তার রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে ৷