কলকাতা, 21 ডিসেম্বর: চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে অবিচার করেছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ৷ নতুন শূন্যপদ তৈরি করে দু'সপ্তাহের মধ্যে যোগ্য ও মেধা তালিকার প্রথমে থাকা প্রার্থীকে চাকরিতে ফেরানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় (High Court Ordered to Recruit Eligible Job Candidate within Two Weeks)। বুধবার এই নির্দেশ দেন তিনি ৷
মেধাতালিকায় প্রথম হয়েও মেলেনি চাকরি ৷ অথচ যারা ওয়েটিং লিস্টে ছিল তারা গত তিন বছর ধরে বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন ৷ শুধুমাত্র কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের গাফিলতির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মামলাকারী ।
তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় 2016 সালের নবম দশমের এসএলএসটি পরীক্ষার মেধাতালিকায় প্রথম স্থানে ছিলেন । ইংরাজি ও বাংলা মাধ্যমের মধ্যে তথাগত ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে অঙ্কের শিক্ষকের জন্য নথিভুক্ত হন । 2019 সালের 5 ফেব্রুয়ারি তাঁকে সুপারিশপত্র দেয় রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ পাশাপাশি কোচবিহারের একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগের জন্য বলা হয় ।
আরও পড়ুন : কমিশনের ওয়েবসাইটে অবিলম্বে 100টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতির
স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ পত্র তুলে দেন তথাগতর হাতে । তারপর তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন সেখানে বাংলা মাধ্যমে পঠনপাঠন হয় । স্কুলটি ইংরাজি মাধ্যম নয় এবং সেখানে শূন্যপদ নেই । নিরুপায় তথাগত এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হয়ে পুরো বিষয়টি জানানোর পরেও উভয় পক্ষই কোনওরকম পদক্ষেপ না-নেওয়ায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, একজন বৈধ তালিকাভুক্ত যিনি 2019 সাল থেকে যোগ্যপ্রার্থী হয়েও এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গাফিলতির কারণে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । যারা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন এবং তথাগতর থেকে অনেক কম নম্বর পেয়েও তাঁরা বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন ।
সব শুনে বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় চূড়ান্ত নির্দেশ দিতে গিয়ে বলেন, "প্রার্থীর প্রতি অবিচার করা হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারকে আমি অবিলম্বে নির্দেশ দিচ্ছি দু'সপ্তাহের মধ্যে শূন্যপদ তৈরি করতে হবে ৷"
আরও পড়ুন : নবম-দশমে আরও 9 জনের ভুল নিয়োগ, আদালতে স্বীকার করল এসএসসি