ETV Bharat / state

অন্য উৎসবেও কি অনুদান দেওয়া হয় ? রাজ্যকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত বলেন, "রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো কমিটিকে টাকা দিয়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার কেনার জন্য।" বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, "এটা তো সরকার নিজেই কিনে দিতে পারত । তাতে সরকারের খরচ কম হত।"

পুজো অনুদান নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
author img

By

Published : Oct 15, 2020, 6:43 PM IST

কলকাতা 15 অক্টোবর: "অন্য উৎসবেও কি অনুদান দেওয়া হয় ?" দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সরকার অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোয় দেয় নাকি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয় ? ইদের সময় কি দেওয়া হয়েছিল ? দুর্গাপুজো নিয়ে আমরাও গর্বিত কিন্তু তাই বলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এইভাবে টাকা দেওয়া যায়?"

মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত বলেন, "রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো কমিটিকে টাকা দিয়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার কেনার জন্য।" বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, "এটা তো সরকার নিজেই কিনে দিতে পারত । তাতে সরকারের খরচ কম হত।" তাঁর প্রশ্ন, "যেখানে সংক্রমণের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে পুজোর অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল? কী কী সুরক্ষাবিধি মেনে চলছে রাজ্য ? ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে?" এরপর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অ্যাডভোকেট জেনেরাল এবং মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে একসঙ্গে বসে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করতে হবে ৷ আলোচনা থেকে কী উঠে এল তা আগামীকাল আদালতে জানাতে হবে ৷

দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে 50 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণার পর 9 অক্টোবর সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন । তিনি পুরোহিত ভাতার বিরুদ্ধেও মামলা করেন । তাঁর বক্তব্য, ভারতবর্ষের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এভাবে কোনও একটি ধর্মের নামে টাকা দেওয়া যায় না ৷ এটা সংবিধানবিরোধী । এরপর গতকাল বারোয়ারি দুর্গাপুজোায় সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করার দাবিতে ফের আর একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে । মামলাকারী অজয় কুমার দের বক্তব্য, ওনাম উৎসবের পর কেরালায় ভয়ংকরভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে । ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি । এখানেও দুর্গাপুজো সেইভাবে পালিত হলে কোরোনা সংক্রমণ বাড়বে । মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসব এবং মহরমে অনুমতি দেওয়া হয়নি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে। শুধুমাত্র ছোটো করে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । তেমন এ রাজ্যেও বারোয়ারি পুজো এ বছরের জন্য বন্ধ রাখা হোক। একান্ত যদি ক্লাবগুলো পুজো করতেই চায় তাহলে অত্যন্ত ছোটো করে পুজো করা হোক এবং সেখানে সাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক । এই দু'টি মামলারই শুনানি ছিল আজ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।

কলকাতা 15 অক্টোবর: "অন্য উৎসবেও কি অনুদান দেওয়া হয় ?" দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সরকার অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোয় দেয় নাকি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয় ? ইদের সময় কি দেওয়া হয়েছিল ? দুর্গাপুজো নিয়ে আমরাও গর্বিত কিন্তু তাই বলে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে এইভাবে টাকা দেওয়া যায়?"

মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত বলেন, "রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো কমিটিকে টাকা দিয়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার কেনার জন্য।" বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তখন বলেন, "এটা তো সরকার নিজেই কিনে দিতে পারত । তাতে সরকারের খরচ কম হত।" তাঁর প্রশ্ন, "যেখানে সংক্রমণের ভয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে পুজোর অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল? কী কী সুরক্ষাবিধি মেনে চলছে রাজ্য ? ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে?" এরপর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, অ্যাডভোকেট জেনেরাল এবং মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে একসঙ্গে বসে এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করতে হবে ৷ আলোচনা থেকে কী উঠে এল তা আগামীকাল আদালতে জানাতে হবে ৷

দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে 50 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণার পর 9 অক্টোবর সৌরভ দত্ত নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন । তিনি পুরোহিত ভাতার বিরুদ্ধেও মামলা করেন । তাঁর বক্তব্য, ভারতবর্ষের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এভাবে কোনও একটি ধর্মের নামে টাকা দেওয়া যায় না ৷ এটা সংবিধানবিরোধী । এরপর গতকাল বারোয়ারি দুর্গাপুজোায় সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করার দাবিতে ফের আর একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে । মামলাকারী অজয় কুমার দের বক্তব্য, ওনাম উৎসবের পর কেরালায় ভয়ংকরভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে । ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি । এখানেও দুর্গাপুজো সেইভাবে পালিত হলে কোরোনা সংক্রমণ বাড়বে । মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসব এবং মহরমে অনুমতি দেওয়া হয়নি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে। শুধুমাত্র ছোটো করে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল । তেমন এ রাজ্যেও বারোয়ারি পুজো এ বছরের জন্য বন্ধ রাখা হোক। একান্ত যদি ক্লাবগুলো পুজো করতেই চায় তাহলে অত্যন্ত ছোটো করে পুজো করা হোক এবং সেখানে সাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক । এই দু'টি মামলারই শুনানি ছিল আজ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.