কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি: পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রমাণের অভাবে কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল হাইব্রিড মোডে স্কুল চালানোর দাবিতে হওয়া জনস্বার্থ মামালা । সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, মামলাকারী চাইলে নতুন করে তথ্য প্রমাণ-সহ মামলা করতে পারেন (hybrid class mode)।
করোনা কালে স্কুলে হাইব্রিড মোডে পঠনপাঠনের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন গৌরব পুরকায়স্থ । সেই মামলার শুনানি হয় সোমবার । এদিন হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দেয় । মামলাকারী গৌরব পুরকায়স্থর তরফে আইনজীবী ঋজু ঘোষালের বক্তব্য ছিল, "যাদের ভ্যাক্সিন হয়েছে স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য খোলা হোক । আর ২০০৭ সালের পর যারা জন্মেছে, তাদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যাবস্থা করা হোক । এমনকি ডিপিএস মেগাসিটির স্কুল ছাত্রছাত্রীদের ৫০% উপস্থিতির নির্দেশ দিয়েছে প্রতিদিন । রাজ্যের সমস্ত স্কুলেই এই ভাবে স্কুলের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা হোক ।" অন্যদিকে রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "প্যানডেমিক আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলেছে । অনলাইন শিক্ষার থেকে অফলাইন শিক্ষার পক্ষে রাজ্য । এটা রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্ত । সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । "
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে পজিটিভ রেট 3 শতাংশ (under control covid-19 situation) । আর কলকাতায় সংক্রমণ 4.4 শতাংশ । নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৪ বছর বয়সিরা পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিতে পারবে । প্রসঙ্গত, দিল্লিতে আজ থেকে স্কুল খুলছে । অথচ দিল্লিতে পজেটিভ রেট বেশি । প্রচুর সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং বেসরকারি স্কুল আছে, যারা পঠনপাঠন চালু করছে সরকারি নির্দেশিকা মেনে । এই মামলা দায়ের করার আগে মামলাকারী পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করেননি । বিভিন্ন জেলার সংক্রমণের হার খতিয়ে দেখে স্কুলে পঠনপাঠনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই যে দস্তুর বলেন, "কেন্দ্র স্কুল খোলার পক্ষে ।" প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মামলাটি খারিজ করে দেয়। তবে মামলাকারীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ-সহ ফের মামলা দায়ের করার ।