কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: রেল বা জাতীয় সড়কের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলে, কেন্দ্রের নতুন আইন মেনেই তার যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে(High Court directs to compensate as per central law in land acquisition for railways or national highways)। একটি জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আপত্তি মামলায় সোমবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ৷
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, 2015 জানুয়ারি থেকে যত জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বা তার আগে অধিগ্রহণ করা হলেও, যার দাম মেটানো হয়নি ওই সময়ের মধ্যে, তাদেরকেই 2013 সালের নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ-সহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে । এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও আপত্তি করতে পারবে না ।
বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এই নির্দেশ দীর্ঘদিনের জমি অধিগ্রহণ ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতা কাটার ক্ষেত্রে একটি দিশা বলে মনে করছেন আইনজীবীরা । এবার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের বারংবার নাক গলানোর সুযোগ খর্ব হবে বলেও আশা জমিদাতাদের ।
আরও পড়ুন : বিএড কলেজে পুনর্নবীকরণের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা ও মুর্শিদাবাদের আঁধারমানিক ও বাসুদেবখালি মৌজার অধিগৃহীত জমির মালিকরা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন । তাঁদের অভিযোগ, নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি জাতীয় সড়কের জন্য নেওয়া ওই জমির জন্য । এমনকি জমির যে দাম দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি জানালেও তাদের আরবিট্রেশনের জন্যও ডাকা হয়নি ।
বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ, ওই জমিদাতাদের ডেকে ছ'মাসের মধ্যে তাদের আপত্তি শুনে সমস্যার সমাধান করতে হবে । একইসঙ্গে স্পষ্টভাবে আদালতের আরও নির্দেশ, প্রতিটি জমিদাতার সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেকের সমস্যার আলাদা আলাদাভাবে সমাধান করতে হবে । গণহারে বা কয়েকজনকে নমুনা হিসেবে নিয়ে তাদের প্রতি দেওয়া নির্দেশে বাকিদের ক্ষেত্রে কার্যকর করা যাবে না ।
এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী চণ্ডীচরণ দে বলেন,"আদালত যা নির্দেশ দেবে তা সরকার মেনে নেবে ।" ওই জমিদাতাদের তরফের আইনজীবী অরিন্দম দাসের কথায়, "কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নিলেও রাজ্য যেহেতু কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে বিধি তৈরি করেনি, তাই এখানে তার সবকটি ধারা ব্যবহারের সুযোগ ছিল না । যা নিয়ে জটিলতা দীর্ঘ দিনের । কিন্তু হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশে অন্তত এখন থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তারা নতুন আইনের সব ধারা মেনেই ক্ষতিপূরণ ও সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার হিসেবে চিহ্নিত হলেন ।"
আরও পড়ুন : গুজরাতের 2 ব্যবসায়ীর নামে লুক আউট নোটিশ জারি লালবাজারের