কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর: গণধর্ষণের তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ও আনন্দপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর করা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট(High Court directed the DG to take a decision to hand over the investigation of Paschim Medinipur gangrape to the CID)।
গোটা ঘটনাক্রমে পুলিশের ভূমিকায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ঘটনার তদন্ত জেলা পুলিশ থেকে সিআইডিকে দেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। তবে শুধু আনন্দপুর থানা নয়, জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে আদালতের । হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আনতে বললে পুলিশ রিপোর্টে জানায়, যেদিন ওই মহিলা এসেছিলেন সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না । এই বিষয়ে আদালত নিশ্চিত, ওই দিনগুলির ফুটেজ হয় মুছে ফেলা হয়েছে বা সরিয়ে ফেলা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : ডেবরায় 2 যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার 7 যুবক
সবমিলিয়ে গোটা ঘটনাক্রমে পুলিশের চূড়ান্ত গাফিলতি আদালতের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই অভিযোগ পাওয়ার পরেও থানা ও এসপি কেন এফআইআর করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি ? কেন 6 সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরুর পরে বিকেলে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করা হয় ? যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে 22 সেপ্টেম্বর রিপোর্ট চেয়েছে আদালত ৷ সেখানে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মেনে কেন গাফিলতির দায়ে এসপি ও থানার ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর হবে না, তাও বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে । গত 6 সেপ্টেম্বর বিচারপতি পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপির থেকে রিপোর্ট তলব করেন (HC on Paschim Medinipur Gang Rape)। গণধর্ষণের পর কেন কোনও এফআইআর হয়নি, থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও কেন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়নি, এইসব গাফিলতির কারণ জানতে চেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট । একইসঙ্গে আনন্দপুর ও কেশপুর থানার ওসিকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন অর্থাৎ 11 অগস্ট রাতেই আনন্দপুর থানায় পৌঁছেছিলেন ধর্ষিতা। সেই সময় তাঁর পরনে ছিল ছেঁড়া কাপড় । 11-16 অগস্টের সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে আনতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি । কিন্তু পুলিশ রিপোর্টে জানায়, ফুটেজ পাওয়া যায়নি ৷ এতেই সন্দেহ হয় আদালতের ৷
আরও পড়ুন : নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই যুবক