ETV Bharat / state

আরামবাগে সদ্যোজাত পাচার মামলায় আজ ফের শুনানি হাইকোর্টে - আরামবাগ শিশু পাচারের ঘটনা

রাজ্যের এজি জানিয়েছেন, সদ্যোজাত মারা যাওয়ায় পর তাকে ব্রিজ থেকে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । সিআইডির কাছে কোনও গোপন তথ্য আছে কি না জানতে চেয়ে হাইকোর্ট আরও এক দিন সময় দিয়েছে রাজ্যকে । আজ ফের শুনানি মামলার ।

again hearing on missing a child of arambagh at kolkata high court tomorrow
আরামবাগে পাচার হওয়া শিশু মামলায় কাল ফের শুনানি হাইকোর্টে
author img

By

Published : Dec 23, 2020, 9:58 AM IST

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর : আরামবাগে সদ্যোজাত পাচার মামলায় রাজ্যকে আরও একদিন সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আদালত জানিয়েছে, একদিনের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে সদ্যোজাতকে । এর আগে রাজ্যকে সময় দেওয়া সত্ত্বেও এখনও সদ্যোজাতর ব্যাপারে সিআইডি কোনও যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে পারেনি । এই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । পাশাপাশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট ।

গতকাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল জানান, সদ্যোজাত মারা যাওয়ায় পর তাকে ব্রিজ থেকে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । এই ব্যাপারে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের এজিকে প্রশ্ন করলে অসংগতি পান । সিআইডির কাছে কোনও গোপন তথ্য আছে কি না জানতে চেয়ে তিনি আরও এক দিন সময় দিয়েছেন রাজ্যকে । আজ ফের শুনানি হবে মামলার ।

16 ডিসেম্বর আরামবাগে শিশু পাচারের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত এড়াতে সিট গঠনের কথা জানায় রাজ্য । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত জানান, এই ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য একজন সিনিয়র সিআইডি অফিসার-এর নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার । তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ 22 ডিসেম্বরের মধ্যে নিখোঁজ শিশুটিকে খুঁজে আনার চূড়ান্ত সময়সীমা দেয় । কিন্তু গতকাল মামলার শুনানিতে রাজ্যের এজি সদ্যোজাতর ব্যাপারে সেই অর্থে কোনও কিছুই জানাতে পারেননি ।

মামলার বয়ান অনুযায়ী আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে 3 সেপ্টেম্বর একটি সন্তানের জন্ম দেন এক যুবতি । তাঁর শ্বশুরবাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর এলাকায় । কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আরামবাগে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন । সন্তান হওয়ার পর সদ্যোজাতর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ । মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খোঁজখবর নিলে প্রথমে জানানো হয় সন্তান মারা গিয়েছে । অগত্যা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবতির শ্বশুরবাড়ির লোকজন । তাঁদের বাচ্চাকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা ।

গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয় সদ্যোজাত অসুস্থ থাকায় পরিবার তাকে নেয়নি । তাই সন্তানকে এক চিকিৎসকের গাড়ির চালককে দিয়ে দেন মা । কিন্তু তারপরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা যায় । তখন দেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল ।

কলকাতা, 23 ডিসেম্বর : আরামবাগে সদ্যোজাত পাচার মামলায় রাজ্যকে আরও একদিন সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আদালত জানিয়েছে, একদিনের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে সদ্যোজাতকে । এর আগে রাজ্যকে সময় দেওয়া সত্ত্বেও এখনও সদ্যোজাতর ব্যাপারে সিআইডি কোনও যুক্তিসংগত কারণ দেখাতে পারেনি । এই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট । পাশাপাশি তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য উঠে এসেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট ।

গতকাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল জানান, সদ্যোজাত মারা যাওয়ায় পর তাকে ব্রিজ থেকে নদীর জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । এই ব্যাপারে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের এজিকে প্রশ্ন করলে অসংগতি পান । সিআইডির কাছে কোনও গোপন তথ্য আছে কি না জানতে চেয়ে তিনি আরও এক দিন সময় দিয়েছেন রাজ্যকে । আজ ফের শুনানি হবে মামলার ।

16 ডিসেম্বর আরামবাগে শিশু পাচারের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্ত এড়াতে সিট গঠনের কথা জানায় রাজ্য । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত জানান, এই ঘটনা তদন্ত করে দেখার জন্য একজন সিনিয়র সিআইডি অফিসার-এর নেতৃত্বে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার । তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ 22 ডিসেম্বরের মধ্যে নিখোঁজ শিশুটিকে খুঁজে আনার চূড়ান্ত সময়সীমা দেয় । কিন্তু গতকাল মামলার শুনানিতে রাজ্যের এজি সদ্যোজাতর ব্যাপারে সেই অর্থে কোনও কিছুই জানাতে পারেননি ।

মামলার বয়ান অনুযায়ী আরামবাগের একটি নার্সিংহোমে 3 সেপ্টেম্বর একটি সন্তানের জন্ম দেন এক যুবতি । তাঁর শ্বশুরবাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের রামজীবনপুর এলাকায় । কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আরামবাগে বাপের বাড়িতে থাকছিলেন । সন্তান হওয়ার পর সদ্যোজাতর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ । মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খোঁজখবর নিলে প্রথমে জানানো হয় সন্তান মারা গিয়েছে । অগত্যা বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই যুবতির শ্বশুরবাড়ির লোকজন । তাঁদের বাচ্চাকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তাঁরা ।

গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশের তরফে জানানো হয় সদ্যোজাত অসুস্থ থাকায় পরিবার তাকে নেয়নি । তাই সন্তানকে এক চিকিৎসকের গাড়ির চালককে দিয়ে দেন মা । কিন্তু তারপরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে মারা যায় । তখন দেহটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.