কলকাতা, 19 এপ্রিল : গতকালই পুল স্যাম্পল টেস্টের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ৷ আজ জানাল র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের কথা । কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পরপর দুই দিন এই দুই টেস্টের বিষয়ে জানানো হল । তবে, স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, আতঙ্ক যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য যাঁর র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে, তাঁকে তখনই এই টেস্টের রিপোর্টের বিষয়ে কিছু জানানো হবে না । টেস্টিং কিটের অপ্রতুলতার কারণে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে ।
রাজ্যজুড়ে যে সব জায়গায় কোরোনা সংক্রমণের হার কম, সেই সব জায়গায় পুল স্যাম্পল টেস্টের কথা গতকাল জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । আজ রাজ্যজুড়ে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে বলে জানানো হল । এই দুই দিনের এই দুই সিদ্ধান্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে । র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের বিষয়ে আজ স্বাস্থ্য দপ্তর এক নির্দেশ জারি করেছে । এই নির্দেশে জানানো হয়েছে, রাজ্যের যে সব জায়গা কোরোনা হটস্পট বা ক্লাস্টার কিংবা কনটেইনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত, সেই সব জায়গায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে । কোরোনা সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি বুঝতে রাজ্যের যে সব জায়গায় সংক্রমণ ধরা পড়েনি, সেই সব জায়গাতেও র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে ।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এদিনের নির্দেশে জানিয়ে দেওয়া হয়, আতঙ্ক যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য যাঁর র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে, তাঁকে তখনই রিপোর্টের বিষয়ে কিছু জানানো হবে না । তবে, ICMR-কে জানানো হবে । ICMR-কে যাতে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের বিষয়ে জানানো হয়, সেই জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে ICMR৷ এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এ দিনের নির্দেশেই জানানো হয়েছে, টেস্টিং কিটের অপ্রতুলতার কারণে, অযথা যাতে টেস্টিং কিট নষ্ট না হয়, সেই বিষয়টি নজরে রাখতে হবে । এর জন্য যে স্থানে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে, সেই টেস্ট করার আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে । রাজ্যে যে সব জায়গাকে রেড জ়োন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে যেখানে কোরোনা প্রতিরোধের কাজ চলছে, সেখানে এই টেস্ট করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে ।
রাজ্যজুড়ে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট করার জন্য রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । কোন জেলায়, কোন মেডিকেল কলেজের পরিচালনায় এই টেস্ট করা হবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এদিনের নির্দেশে । শরীরে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় । সংক্রমণ ঘটার সাধারণত পাঁচ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয় । রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে অ্যান্টিবডি নির্ণয় করা হয় । কারও ক্ষেত্রে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা না দিলেও, যদি তাঁর সংক্রমণ ঘটে থাকে, তা হলে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে তা নির্ণয় করা যেতে পারে ।