কলকাতা, 11 জুলাই: কোনও জমিদাতা জমি দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সরকারি দফতরে দফতরে দরবার করবেন, এটা হতে পারে না (Compensation on Land Acquisition)। যেহেতু জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তাই সরকারেরই দায়িত্ব জমিদাতাকে তার ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা । উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ না-পাওয়ার অভিযোগে মামলায় এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের । এদিন আদালত ওই মামলায় একাধিক নির্দেশ দিয়েছে ।
এই মামলাকারীদের জমি নেওয়ার জন্য কীভাবে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হয়েছে, সেই হিসেবের নথি এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে । সেই নথি খতিয়ে দেখার পর আপত্তি জানাতে নতুন করে আরবিট্রেশন বা মধ্যস্থতার জন্য ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন করবেন তারা । তারপরের 6 মাসের মধ্যে ওই আবেদনের মীমাংসা করতে হবে । পুরনো আইন নয়, 2013 সালের কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করতে হবে ।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে পৌঁছলেন মমতা, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ জয়ে শুভেচ্ছা দলকে
মামলাকারিদের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, "কিছুদিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য জানিয়েছিল, এই রাজ্যে জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকর করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে । তবে জাতীয় সড়কের জন্য অধিগ্রহণে ওই আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল । এবার হাইকোর্টও নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যের বহু এলাকায় জমিদাতারা উপকৃত হবেন । নির্দেশ কার্যকর হলে, বহু মামলাও সেক্ষেত্রে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে ।"
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের চ্যাংপাড়া মৌজার তপন দত্ত, সুশীল রায়ের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে ।