কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নিযুক্ত করার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । আগামী 4 সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জমা দিতে হবে হলফনামা । সোমবার এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta University Vc Recruitment Case)। আগামী 22 মার্চ ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
মামলার শুনানিতে মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের পক্ষে আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য বলেন, "আইন অনুযায়ী উপাচার্যকে একমাত্র নিয়োগ করতে পারেন আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল । 2017 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৎকালীন আচার্য চার বছরের জন্য নিয়োগ করেছিলেন । যার মেয়াদ 2021 সালের অগাস্ট মাসের শেষ হয়ে যায় । তারপরই 27 আগস্ট 2021 সালে উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিব উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করেন । যা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিরোধী ।’’ এই মর্মে তিনি আপাতত একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশের আর্জি জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের কাছে (Vice chancellor Recruitment) ।
আরও পড়ুন: AMC Result 2022 : আসানসোল পৌরনিগম বিরোধী শূন্য, ফলপ্রকাশের আগেই দাবি তৃণমূল নেতার
কিন্তু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা বিশ্বে একটা সুনাম রয়েছে । যেকোনও ধরনের অন্তর্বর্তী নির্দেশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামে আঘাত হানতে পারে । যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে ।" পাশাপাশি অ্যাডভোকেট জেনারেল এ ব্যাপারে রাজ্যের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালতকে কিছুটা সময় দেওয়ার আর্জি জানান । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ।
উল্লেখ্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা থেকে শুরু করে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি বা তার সম্মতি নেওয়া হয়নি বলে অনেক আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ।