ETV Bharat / state

HC on Fake Cannabis Case: হাওড়া জুড়ে ভুয়ো গাঁজা মামলায় গ্রেফতার কেন, রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের - HC on Fake Cannabis Case

মিথ্যে গাঁজা মামলায় গ্রেফতারি বেশি রয়েছে হাওড়া জেলায়(HC on Fake Cannabis Case)৷ এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ায় হাইকোর্ট এই বিষয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিল ৷ মূলত চারটি বিষয় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফ থেকে ৷ সেই বিষয়গুলির উপরই রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷

Etv Bharat
হাওড়া জুড়ে ভুয়ো গাঁজা মামলায় গ্রেফতারের রিপোর্ট চাইল আদালত
author img

By

Published : Sep 12, 2022, 2:31 PM IST

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: 2016-র জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলা জুড়ে কতজনকে গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে, আর কত গাঁজা থানার মালখানায় মজুত রয়েছে এইসবের যাবতীয় তথ্য রাজ্যের থেকে তলব করল হাইকোর্ট(High Court ordered the states report to know the arrests in fake ganja case)।

এক ব্যক্তিকে 17টি মিথ্যে গাঁজা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ওঠে(HC on Fake Ganja Case)। পাশাপাশি রাজ্যের বহু লোককে ভুয়ো গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করার অভিযোগে সৌরভ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করেন হাইকোর্টে । সোমবার সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে এই নির্দেশ দেয় । 28 নভেম্বরের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ।

সৌরভ মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল গাঁজা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করছিলেন । তাই তাঁকে মিথ্যে মামলায় একের পর এক ফাঁসানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন : 18 হাজার কেজি গাঁজা ধ্বংস করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ
তবে এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নাম এবং তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার হচ্ছে সমস্ত কিছু সিজার লিস্টে পরিষ্কার লিখতে হবে । এরপর সেটা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাচাই করতে হবে ।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিশ মোট সংখ্যাটা লিখে রাখে । ধরা যাক 57 জন গ্রেফতার হয়েছে ৷ এবার তাদের থেকে মোট কতটা গাঁজা উদ্ধার হয়েছে সেটা লিখে রাখা হয় ।"

এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, কেন আপনারা আলাদা আলাদা করে লিখে রাখেন না ?
অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে জানান, তদন্তের কারণে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় । তখনই সুবীর সান্যাল বলেন, "এখানেই কারচুপির সুযোগ রেখে দেওয়া হয় ।"

আরও পড়ুন : গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা গাঁজা ব্যবহার করেন তাদের নিকোটিন পণ্য খাওয়ার প্রবণতা বেশি
এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে । সেই রিপোর্টে যে যে বিষয়ের উল্লেখ থাকতে হবে তা হল :
1) হাওড়ার প্রতিটি থানায় কত গাঁজা কেস হয়েছে

2) ওই কেসে কত পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে

3) থানার মালখানায় কত গাঁজা মজুত আছে

4) ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কত গাঁজা নষ্ট করা হয়েছে

এই চারটি বিষয় খতিয়ে দেখবে আদালত । পাশাপাশি 4টি বিষয়েরই সংখ্যাতত্ত্ব ট্যালি করবে আদালত । তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে হাইকোর্ট । মামলার পরবর্তী শুনানি 20 নভেম্বর ।

আরও পড়ুন : গাঁজা পাচার চক্রে জামতারা গ্যাং! বারাবনিতে গ্রেফতার দুই

কলকাতা, 12 সেপ্টেম্বর: 2016-র জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত গোটা হাওড়া জেলা জুড়ে কতজনকে গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে, আর কত গাঁজা থানার মালখানায় মজুত রয়েছে এইসবের যাবতীয় তথ্য রাজ্যের থেকে তলব করল হাইকোর্ট(High Court ordered the states report to know the arrests in fake ganja case)।

এক ব্যক্তিকে 17টি মিথ্যে গাঁজা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে ওঠে(HC on Fake Ganja Case)। পাশাপাশি রাজ্যের বহু লোককে ভুয়ো গাঁজা মামলায় গ্রেফতার করার অভিযোগে সৌরভ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা করেন হাইকোর্টে । সোমবার সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে এই নির্দেশ দেয় । 28 নভেম্বরের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে ।

সৌরভ মণ্ডলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল গাঁজা নিয়ে তথ্য জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করছিলেন । তাই তাঁকে মিথ্যে মামলায় একের পর এক ফাঁসানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন : 18 হাজার কেজি গাঁজা ধ্বংস করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ
তবে এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নাম এবং তাদের থেকে কত গাঁজা উদ্ধার হচ্ছে সমস্ত কিছু সিজার লিস্টে পরিষ্কার লিখতে হবে । এরপর সেটা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাচাই করতে হবে ।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিশ মোট সংখ্যাটা লিখে রাখে । ধরা যাক 57 জন গ্রেফতার হয়েছে ৷ এবার তাদের থেকে মোট কতটা গাঁজা উদ্ধার হয়েছে সেটা লিখে রাখা হয় ।"

এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, কেন আপনারা আলাদা আলাদা করে লিখে রাখেন না ?
অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে জানান, তদন্তের কারণে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় । তখনই সুবীর সান্যাল বলেন, "এখানেই কারচুপির সুযোগ রেখে দেওয়া হয় ।"

আরও পড়ুন : গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা গাঁজা ব্যবহার করেন তাদের নিকোটিন পণ্য খাওয়ার প্রবণতা বেশি
এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে । সেই রিপোর্টে যে যে বিষয়ের উল্লেখ থাকতে হবে তা হল :
1) হাওড়ার প্রতিটি থানায় কত গাঁজা কেস হয়েছে

2) ওই কেসে কত পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে

3) থানার মালখানায় কত গাঁজা মজুত আছে

4) ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে কত গাঁজা নষ্ট করা হয়েছে

এই চারটি বিষয় খতিয়ে দেখবে আদালত । পাশাপাশি 4টি বিষয়েরই সংখ্যাতত্ত্ব ট্যালি করবে আদালত । তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে হাইকোর্ট । মামলার পরবর্তী শুনানি 20 নভেম্বর ।

আরও পড়ুন : গাঁজা পাচার চক্রে জামতারা গ্যাং! বারাবনিতে গ্রেফতার দুই

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.