কলকাতা, 5 জুলাই: দক্ষিণেশ্বর ও খড়দা থানার দুটি পৃথক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । দক্ষিণেশ্বর থানার ওসি ও তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডাইরি-সহ আগামী সোমবার আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । অন্যদিকে খড়দা থানার সিসিটিভি ফুটেজ 18 জুলাই আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 6 জুন রাতে দক্ষিণেশ্বর থানা এলাকায় দীপঙ্কর মিত্র নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে ঢুকে রক্তদানের অনুষ্ঠানের জন্য মোটা টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় জোর করে আলমারি থেকে 12 হাজার টাকা এবং দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেক সই করিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ । দীপঙ্করবাবুকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে । তাঁকে ভরতি হতে হয় হাসপাতালে । লাগাতার ঘোরার পর ছ'দিনের মাথায় পুলিশ অভিযোগ নেয় ৷ তবে ঘটনার গুরুত্ব কমাতে হালকা ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ ৷ এমনটাই দাবি জানিয়েছেন দীপঙ্কর মিত্র । উলটে অভিযুক্তদের দিয়ে পুলিশ পালটা মামলা করায় ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে বলেও অভিযোগ ।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দীপঙ্কর মিত্র ৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের হয় ৷ সেই মামলায় দক্ষিণেশ্বর থানার ওসি ও তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডাইরি-সহ আগামী সোমবার হাজির হতে হবে আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, থানায় কোনও ঘটনা ওসি-র অজ্ঞাতে ঘটে না । পুলিশের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তাতে বিরক্ত আদালত।
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের
অন্যদিকে, একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খড়দা থানা এক মহিলাকে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখার অভিযোগ তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে । যে যে দিনগুলিতে মহিলাকে ডেকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ, সেই দিনগুলির থানার সব সিসিটিভি ফুটেজ 18 জুলাই আদালতে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ। সেই ফুটেজ দেখে পদক্ষেপ করবে আদালত। তবে যদি ফুটেজ দেখে অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হয় তাহলে মামলাকারীকে মোটা টাকা জরিমানা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।