ETV Bharat / state

HC over IIT Student Death: আইআইটি ছাত্রমৃত্যুতে নয়া মোড়, মৃতদেহ ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ আদালতের - HC over IIT Student Death

আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র ফাইজান আহমেদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় গত বছরের অক্টোবরে ৷ পুলিশের দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট মিলছে না ৷ তাই আবারও দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত ৷

Calcutta High Court
কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Apr 25, 2023, 1:55 PM IST

Updated : Apr 25, 2023, 3:13 PM IST

আইআইটি ছাত্রমৃত্যুতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত

কলকাতা, 25 এপ্রিল: আইআইটি খড়্গপুর ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে বিস্ফোরক তথ্য মিলল ৷ মঙ্গলবার ছাত্রের মৃত্যু সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷ ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক অজয় গুপ্তের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ৷ কিন্তু পুলিশের দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ ছিল না ৷ উল্লেখ্য ফাইজানের হাতে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায় ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে, ছাত্রটির মৃত্যুর পর তাঁর হাত কেটে আঘাত করা হয় ৷ এতে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, ফাইজান আহমেদ আত্মহত্যা করেছে ৷ এভাবে তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি ৷

এই রিপোর্ট দেখার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ফাইজান আহমেদের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে ৷ তার জন্য আইআইটি ছাত্রের দেহ কবর থেকে তুলতে হবে ৷ তদন্তকারী অফিসাররা নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসবেন ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দায়িত্ব নিয়ে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷ চিকিৎসক অজয় গুপ্ত ও প্রথমবার ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকও সেখানে উপস্থিত থাকবেন ৷ এক মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ 30 জুন এর পরবর্তী শুনানি ৷

আরও পড়ুন: আইআইটি ছাত্রের মৃত্যুতে 7 জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু টাউন থানার পুলিশের

চিকিৎসক অজয় গুপ্তর আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, "অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের 21 নভেম্বর, 2022 রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু ওষুধ উদ্ধার হয়েছিল । মাংস যাতে পচে না-যায়, তার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় । বিষ হিসেবেও এর ব্যবহার হয় ৷ একটা নীল ঝুড়ি পাওয়া গিয়েছিল এবং তার মধ্যে ছিল হলুদ রঙের তরল পদার্থ ৷" তিনি জানান, নতুন করে দেহ তুলে নতুন করে ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত ৷ কারণ আগের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কীভাবে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে সেই ব্যাপারে একেবারে নীরব ৷ এটা হওয়ার কথা নয় ৷ হেমাটোমা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে ৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের ডাক্তারের রিপোর্টে উল্লেখ নেই ৷

প্রসঙ্গত, গত 14 অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের হস্টেলে ফাইজান আহমেদের মৃতদেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ৷ গুয়াহাটির বাসিন্দা ফাইজানের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ তাঁর অভিভাবকরা অক্টোবরে একটি আবেদনে জানান, ফাইজান ব়্যাগিংয়ের শিকার ৷ তাঁদের ছেলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না-চাওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ নভেম্বরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইআইটি-র ডিরেক্টরকে এই ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের নাম জানানোর নির্দেশ দেন ৷ এবছরের জানুয়ারি মাসে বিচারপতি অভিযোগ করেন, আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ ফাইজান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷

আইআইটি ছাত্রমৃত্যুতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত

কলকাতা, 25 এপ্রিল: আইআইটি খড়্গপুর ছাত্রের রহস্য মৃত্যুতে বিস্ফোরক তথ্য মিলল ৷ মঙ্গলবার ছাত্রের মৃত্যু সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দিল হাইকোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷ ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক অজয় গুপ্তের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ছাত্রের মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ৷ কিন্তু পুলিশের দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার উল্লেখ ছিল না ৷ উল্লেখ্য ফাইজানের হাতে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায় ৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির মতে, ছাত্রটির মৃত্যুর পর তাঁর হাত কেটে আঘাত করা হয় ৷ এতে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, ফাইজান আহমেদ আত্মহত্যা করেছে ৷ এভাবে তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি ৷

এই রিপোর্ট দেখার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, ফাইজান আহমেদের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে ৷ তার জন্য আইআইটি ছাত্রের দেহ কবর থেকে তুলতে হবে ৷ তদন্তকারী অফিসাররা নতুন করে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসবেন ৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দায়িত্ব নিয়ে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷ চিকিৎসক অজয় গুপ্ত ও প্রথমবার ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসকও সেখানে উপস্থিত থাকবেন ৷ এক মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷ 30 জুন এর পরবর্তী শুনানি ৷

আরও পড়ুন: আইআইটি ছাত্রের মৃত্যুতে 7 জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু টাউন থানার পুলিশের

চিকিৎসক অজয় গুপ্তর আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, "অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের 21 নভেম্বর, 2022 রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু ওষুধ উদ্ধার হয়েছিল । মাংস যাতে পচে না-যায়, তার জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা হয় । বিষ হিসেবেও এর ব্যবহার হয় ৷ একটা নীল ঝুড়ি পাওয়া গিয়েছিল এবং তার মধ্যে ছিল হলুদ রঙের তরল পদার্থ ৷" তিনি জানান, নতুন করে দেহ তুলে নতুন করে ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছেন চিকিৎসক অজয় গুপ্ত ৷ কারণ আগের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কীভাবে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে সেই ব্যাপারে একেবারে নীরব ৷ এটা হওয়ার কথা নয় ৷ হেমাটোমা খালি চোখে দেখা যাচ্ছে ৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের ডাক্তারের রিপোর্টে উল্লেখ নেই ৷

প্রসঙ্গত, গত 14 অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের হস্টেলে ফাইজান আহমেদের মৃতদেহ পাওয়া যায় ৷ তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ৷ গুয়াহাটির বাসিন্দা ফাইজানের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ তাঁর অভিভাবকরা অক্টোবরে একটি আবেদনে জানান, ফাইজান ব়্যাগিংয়ের শিকার ৷ তাঁদের ছেলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না-চাওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ নভেম্বরে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইআইটি-র ডিরেক্টরকে এই ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের নাম জানানোর নির্দেশ দেন ৷ এবছরের জানুয়ারি মাসে বিচারপতি অভিযোগ করেন, আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ ফাইজান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৷

Last Updated : Apr 25, 2023, 3:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.