ETV Bharat / state

Seminar for Muslims: 'অবিভক্ত ভারতের পক্ষেই ছিল মুসলমান সমাজের বড় অংশ', তা তুলে ধরবে আন্তর্জাতিক কর্মশালা !

অখণ্ড ভারতের পক্ষে মুসলমান সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরতে কলকাতায় হতে চলেছে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার ৷ 7মে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ৷

author img

By

Published : May 5, 2023, 7:53 PM IST

Updated : May 5, 2023, 8:04 PM IST

Seminar for Muslims
Seminar for Muslims

কলকাতা, 5 মে: দেশে সম্প্রতি একাধিক হিংসার ঘটনায় নির্দিষ্ট কোনও একটি জাতিকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা হয়েছে, এই অভিযোগ একাধিকবার করেছে বুদ্ধিজীবী মহল । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রসঙ্গে সংখ্যালঘুদের 'পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া'র মতো নিদানও এসেছে বহুবার । কিন্তু কেন এই নিদান ? দেশ ভাগ কী ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল ? নাকি ছিল রাজনৈতিক স্বার্থ ? 1947 সালের সেই ইতিহাসকেই আর একবার জনমানসে ছড়িয়ে দিতে চাইছে হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

তার জন্য 7মে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে । শুক্রবার এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ট্রাস্টের কর্তা ডা. ফুয়াদ হালিম । বিশিষ্ট্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক দেবাশিস সরকার, অধ্যাপক মঈদুল ইসলাম, সায়রা সাহ হালিম এবং নাসির আহমেদ ।

বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার বা নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচকেরা গত পাঁচ বছরে নানা ভাবে গৈরিক শিবিরের রোষের শিকার হয়েছেন - এই কথাই বারবার উঠে আসে শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে । কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচককে 'দেশদ্রোহী' তকমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই অবস্থায় দেশ ভাগের ইতিহাসটা আর একবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

ভারত কখনওই এক জাতির দেশ ছিল না, ছিল বহু জাতির দেশ, আর সে জাতীয়তার ভিত্তি ধর্ম নয়, ছিল ভাষা - এই কথাই উঠে আসে বিশিষ্ট্যদের বক্তব্যে । তাঁদের মতে, 1947-এ ভারতে একটি-দুটিও নয়, সতেরোটি জাতি ছিল । ভারতবর্ষের মানুষের জন্য প্রধান সমস্যাটা ছিল শ্রেণির । কিন্তু কংগ্রেস ও লিগ কেউই শ্রেণি সমস্যার সমাধান চায়নি । বিশিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, শ্রেণি সমস্যা আড়াল করার জন্যই কিন্তু জাতি সমস্যাকে প্রধান করে তোলা হয়েছিল এবং জাতীয়তার মূল ভিত্তি যে ভাষা, সেটাকে অস্বীকার করে ধর্মকে নিয়ে আসা হয়েছিল সামনে । ফলে সম্প্রদায় জাতি হয়ে গেল, জাতি রয়ে গেল আড়ালে ।

তাঁরা বলেন, ধর্মকে সামনে নিয়ে আসাতে আরও একটি সুবিধা হয়েছে । তা হল মেহনতিদের শ্রেণি সচেতনতাকে ভোঁতা করে দেওয়া । গরিব হিন্দু ও গরিব মুসলমান যে ভাই ভাই এবং তাঁরা উভয়েই যে ধনীদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে—এই চেতনা যদি সজীব থাকে, তাহলে হিন্দু ধনী ও মুসলমান ধনী দুজনেরই বিপদ ; তাই হিন্দু কংগ্রেস ও মুসলমানের মুসলিম লিগ দুই দলই মেহনতিদের তাঁদের গরিব পরিচয় ভুলিয়ে দিয়ে ধর্মীয় পরিচয়কে প্রধান করে তুলতে চেয়েছিল । সে ক্ষেত্রে ইংরেজদের আগমনের আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক পার্থক্য ছিল বটে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা ছিল না । সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হয়েছে ইংরেজদের আগমনের পরে এবং তাদের প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ উসকানিতে । সাম্প্রদায়িকতার এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে মনে করেন বিশিষ্ট্য়রা ।

তাঁদের মতে, ধর্মকে কংগ্রেস ও লিগ উভয়েই ব্যবহার করেছে, আর ইংরেজ তাতে হাওয়া দিয়েছে । এই সত্যিটাই মানুষ ভুলে যেতে বসেছে । তার ফলে সাম্প্রদায়িকতা থেকে জন্ম নিয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা । এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

আরও পড়ুন: পঞ্চাশ টাকায় ডায়ালিসিস, মানুষের পাশে ফুয়াদ হালিম

কলকাতা, 5 মে: দেশে সম্প্রতি একাধিক হিংসার ঘটনায় নির্দিষ্ট কোনও একটি জাতিকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা হয়েছে, এই অভিযোগ একাধিকবার করেছে বুদ্ধিজীবী মহল । শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রসঙ্গে সংখ্যালঘুদের 'পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া'র মতো নিদানও এসেছে বহুবার । কিন্তু কেন এই নিদান ? দেশ ভাগ কী ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল ? নাকি ছিল রাজনৈতিক স্বার্থ ? 1947 সালের সেই ইতিহাসকেই আর একবার জনমানসে ছড়িয়ে দিতে চাইছে হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

তার জন্য 7মে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে । শুক্রবার এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ট্রাস্টের কর্তা ডা. ফুয়াদ হালিম । বিশিষ্ট্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক দেবাশিস সরকার, অধ্যাপক মঈদুল ইসলাম, সায়রা সাহ হালিম এবং নাসির আহমেদ ।

বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবার বা নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচকেরা গত পাঁচ বছরে নানা ভাবে গৈরিক শিবিরের রোষের শিকার হয়েছেন - এই কথাই বারবার উঠে আসে শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে । কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচককে 'দেশদ্রোহী' তকমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এই অবস্থায় দেশ ভাগের ইতিহাসটা আর একবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

ভারত কখনওই এক জাতির দেশ ছিল না, ছিল বহু জাতির দেশ, আর সে জাতীয়তার ভিত্তি ধর্ম নয়, ছিল ভাষা - এই কথাই উঠে আসে বিশিষ্ট্যদের বক্তব্যে । তাঁদের মতে, 1947-এ ভারতে একটি-দুটিও নয়, সতেরোটি জাতি ছিল । ভারতবর্ষের মানুষের জন্য প্রধান সমস্যাটা ছিল শ্রেণির । কিন্তু কংগ্রেস ও লিগ কেউই শ্রেণি সমস্যার সমাধান চায়নি । বিশিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, শ্রেণি সমস্যা আড়াল করার জন্যই কিন্তু জাতি সমস্যাকে প্রধান করে তোলা হয়েছিল এবং জাতীয়তার মূল ভিত্তি যে ভাষা, সেটাকে অস্বীকার করে ধর্মকে নিয়ে আসা হয়েছিল সামনে । ফলে সম্প্রদায় জাতি হয়ে গেল, জাতি রয়ে গেল আড়ালে ।

তাঁরা বলেন, ধর্মকে সামনে নিয়ে আসাতে আরও একটি সুবিধা হয়েছে । তা হল মেহনতিদের শ্রেণি সচেতনতাকে ভোঁতা করে দেওয়া । গরিব হিন্দু ও গরিব মুসলমান যে ভাই ভাই এবং তাঁরা উভয়েই যে ধনীদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে—এই চেতনা যদি সজীব থাকে, তাহলে হিন্দু ধনী ও মুসলমান ধনী দুজনেরই বিপদ ; তাই হিন্দু কংগ্রেস ও মুসলমানের মুসলিম লিগ দুই দলই মেহনতিদের তাঁদের গরিব পরিচয় ভুলিয়ে দিয়ে ধর্মীয় পরিচয়কে প্রধান করে তুলতে চেয়েছিল । সে ক্ষেত্রে ইংরেজদের আগমনের আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক পার্থক্য ছিল বটে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা ছিল না । সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হয়েছে ইংরেজদের আগমনের পরে এবং তাদের প্রত্যক্ষ-অপ্রত্যক্ষ উসকানিতে । সাম্প্রদায়িকতার এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বলে মনে করেন বিশিষ্ট্য়রা ।

তাঁদের মতে, ধর্মকে কংগ্রেস ও লিগ উভয়েই ব্যবহার করেছে, আর ইংরেজ তাতে হাওয়া দিয়েছে । এই সত্যিটাই মানুষ ভুলে যেতে বসেছে । তার ফলে সাম্প্রদায়িকতা থেকে জন্ম নিয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা । এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় হাসিম আবদুল হালিম ফাউন্ডেশন ।

আরও পড়ুন: পঞ্চাশ টাকায় ডায়ালিসিস, মানুষের পাশে ফুয়াদ হালিম

Last Updated : May 5, 2023, 8:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.