কলকাতা, 7 জুন : এটিএমে আঁচড় পর্যন্ত নেই ৷ অথচ উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা ৷ দিল্লির পর সম্প্রতি কলকাতায় তিনটি এটিএম থেকে ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে লুঠ হয়েছে 40 কোটি টাকা ৷ কোন পথ অনুসরণ করে নতুন পদ্ধতিতে এটিএম জালিয়াতি শুরু করেছে সাইবার দস্যুরা, তা ভেবে কুল পাচ্ছিলেন না লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ ব্ল্যাক বক্স অ্যাটাক করে হ্যাকাররা এটিএম লুঠ করেছিল, সেই খবর সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ইটিভি ভারতে ৷ সেই খবরে সিলমোহর পড়ল ৷
ইটিভি ভারতের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অ্যাথিক্যাল হ্যাকার মহম্মদ রেজা আহম্মেদ জানিয়েছিলেন, ব্ল্যাক বক্স করে এভাবে এটিএম লুঠ করছে সাইবার দস্যুরা ৷ ইটিভি ভারতের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা ৷ তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছেন, ব্ল্যাক বক্স অ্যাটাকের মাধ্যমে শহরে এটিএম থেকে টাকা লুঠ করেছিল ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ৷ ইতিমধ্যেই ফতেপুর থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের সাইকেলের গোয়েন্দারা । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এই তথ্য উঠে এসেছে ।
আরও পড়ুন : সাইবার হানা থেকে এটিএম-কে সুরক্ষা কীভাবে, পরামর্শ এথিক্যাল হ্যাকারের
এটিএম লুঠের ঘটনায় নবীন গুপ্তা, মনোজ গুপ্তা নামে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ এছাড়া বিশ্বদীপ রাউত ও আবদুল শরিফুল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ শহরে কোন কোন এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী নেই সুরাত থেকে সেই খবর পাঠাত শরিফুল এবং বিশ্বদীপ ৷ এরপর চলত অপারেশন । গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, চাবি দিয়ে প্রথমে এটিএম কাউন্টারের হুড খোলা হত । ভিতরের ইউএসবি পোর্টে ওই ব্ল্যাকবক্সটি বসিয়ে দেওয়া হতো ।
ওই ব্ল্যাক বক্সের মাধ্যমে এটিএম মেশিনটি দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসত । এরপর গেট ক্যাশ নামক একটি বোতাম টিপলেই সংশ্লিষ্ট এটিএম কাউন্টারের সমস্ত টাকা সাইবার দস্যুদের হাতে চলে আসত । এভাবে এটিএম মেশিন না ভেঙে একাধিক এটিএম থেকে কয়েক কোটি টাকা লুঠ করেছে সাইবার দুষ্কৃতীরা ৷ গোয়েন্দারা মনে করছেন, এর সঙ্গে একটি বিশেষ চক্র জড়িত রয়েছে ৷ এই চক্র ভিন রাজ্য পর্যন্ত জাল বিস্তার করেছে ৷ তদন্তের জন্য দিল্লি পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে লালবাজার ।