কলকাতা, 29 মে : বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে বৃক্ষরোপণের আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় । এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি । রাজ্যপালের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, "আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত গাছ আছে তা জানা উচিত রাজ্যপালের। তারপর এনিয়ে কথা বলবেন । যথাযথ ত্রাণ পাচ্ছে না রাজ্য । তাই এই পরিস্থিতিতে শুধু গাছ লাগানো নিয়ে কথা না বলে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের ইশুতে কথা বলা উচিত তাঁর ।
আমফানে কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রচুর গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে । শুধু কলকাতাতেই সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো গাছ পড়েছে । আমফান ঘূর্ণিঝড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় 140টি'র মতো গাছ ভেঙে বা উপড়ে গিয়েছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের BT রোড ক্যাম্পাসে 70টি'র কাছাকাছি গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতেও কমবেশি গাছ পড়েছে । রাজ্যজুড়ে বিপুল পরিমাণে সবুজের ক্ষতি পূরণ করতে আজ রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠান । সেখানে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে যত বেশি সম্ভব বৃক্ষরোপণ করতে । শুধু নতুন গাছ লাগানো নয়, যে গাছগুলি রয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রয়োজনীয় কী পদক্ষেপ করেছে তার রিপোর্ট 15 জুনের মধ্যে পাঠাতেও বলা হয়েছে ।
এবিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রথমত ওনার জানা উচিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ আছে, আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ নেই। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ পড়ে গেছে সেই বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট সচেতন। হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে? গোটা রাজ্যজুড়েই তো গাছ পড়ে গেছে। কলকাতা পৌর নিগমের অধীনস্থ 144টি ওয়ার্ডে সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ পড়ে গেছে । মানুষের প্রাণ বড়। মানুষের প্রাণ নিয়ে একবারও বললেন না। ত্রাণ নিয়ে বললেন না। আমি খুব দুঃখিত যে, তিনি গাছ নিয়ে কথা বলছেন। নিশ্চয়ই বলুন। উনি আজ বলছেন । আমরা রোজ বলছি । মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রথমে বলেছেন, প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। কারণ, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। শুধু গাছ লাগানো নয়, যে গাছকে বাঁচানো যাবে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"
রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বলেন, "অনেক কিছু ভালো বিষয় নিয়েও বলার আছে । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা টাকা পাচ্ছি না। সেই টাকা আনিয়ে দেওয়া হোক। সেবিষয়ে রাজ্যপাল কিছু বলুন । উনি বলবেন, আমাকে তো কেউ জানাননি। "
শুধু বৃক্ষরোপণ নয়, কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের ইশুতেও কথা বলুন রাজ্যপাল : পার্থ - বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি রাজ্যপালের
আমফানে প্রচুর গাছ ভেঙে, উপড়ে নষ্ট হয়ে গেছে । তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে বৃক্ষরোপণের আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল । তা নিয়েই আজ তাঁকে কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ।
কলকাতা, 29 মে : বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে বৃক্ষরোপণের আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় । এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি । রাজ্যপালের এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, "আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত গাছ আছে তা জানা উচিত রাজ্যপালের। তারপর এনিয়ে কথা বলবেন । যথাযথ ত্রাণ পাচ্ছে না রাজ্য । তাই এই পরিস্থিতিতে শুধু গাছ লাগানো নিয়ে কথা না বলে কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের ইশুতে কথা বলা উচিত তাঁর ।
আমফানে কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রচুর গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে । শুধু কলকাতাতেই সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো গাছ পড়েছে । আমফান ঘূর্ণিঝড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় 140টি'র মতো গাছ ভেঙে বা উপড়ে গিয়েছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের BT রোড ক্যাম্পাসে 70টি'র কাছাকাছি গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতেও কমবেশি গাছ পড়েছে । রাজ্যজুড়ে বিপুল পরিমাণে সবুজের ক্ষতি পূরণ করতে আজ রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠান । সেখানে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে যত বেশি সম্ভব বৃক্ষরোপণ করতে । শুধু নতুন গাছ লাগানো নয়, যে গাছগুলি রয়েছে, তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রয়োজনীয় কী পদক্ষেপ করেছে তার রিপোর্ট 15 জুনের মধ্যে পাঠাতেও বলা হয়েছে ।
এবিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রথমত ওনার জানা উচিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ আছে, আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ নেই। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ পড়ে গেছে সেই বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট সচেতন। হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে? গোটা রাজ্যজুড়েই তো গাছ পড়ে গেছে। কলকাতা পৌর নিগমের অধীনস্থ 144টি ওয়ার্ডে সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ পড়ে গেছে । মানুষের প্রাণ বড়। মানুষের প্রাণ নিয়ে একবারও বললেন না। ত্রাণ নিয়ে বললেন না। আমি খুব দুঃখিত যে, তিনি গাছ নিয়ে কথা বলছেন। নিশ্চয়ই বলুন। উনি আজ বলছেন । আমরা রোজ বলছি । মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রথমে বলেছেন, প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। কারণ, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। শুধু গাছ লাগানো নয়, যে গাছকে বাঁচানো যাবে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"
রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । বলেন, "অনেক কিছু ভালো বিষয় নিয়েও বলার আছে । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আমরা টাকা পাচ্ছি না। সেই টাকা আনিয়ে দেওয়া হোক। সেবিষয়ে রাজ্যপাল কিছু বলুন । উনি বলবেন, আমাকে তো কেউ জানাননি। "