কলকাতা, 18 অক্টোবর: দুর্গাপুজোর চতুর্থীতে 'মিশন কালাক্রান্তি'-র উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে আয়োজিত দুর্গাভারত সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদিনই পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, শান্তিনিকেতন কর্তৃপক্ষ, গার্ডেন ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড এবং ইসরোর চন্দ্রযান টিম, ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম প্রমোশন কাউন্সিলের প্রতিনিধির হাতে স্মারক এবং 1 লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷
রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা মিশন কলাক্রান্তির উদ্বোধন করেছেন রাজ্যপাল। এই মিশন 'কলাক্রান্তি'র ফেস-2 ওডিশাতে আয়োজিত হবে । আগামী নভেম্বর মাসের 22 তারিখ অনুষ্ঠিত হবে কোনার্ক, পুরী ও ভুবনেশ্বরে । আজ রাজ্যপালের লেখা গান 'কলাক্রান্তি' দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় । সুরকার গায়ক শান্তনু রায় চৌধুরী সঙ্গীত পরিবশেন করেছেন । পুরুলিয়ার ছৌ নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। এরমধ্যে রাজ্যপাল ভিডিয়ো বার্তায় দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন ৷
রাজ্যপাল বলেন, "বাংলার মা,ভাই ও বোনেদেরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি । আসুন মা দুর্গার চরণ তলে নিজেদের সমর্পণ করি । এটা হল আত্ম উপলব্ধির সময়। মা দুর্গার শরণাপন্ন হওয়ার সময় এটাই । দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন এই আদর্শে মিলিত হওয়ার সময় । সর্বমঙ্গলম মঙ্গলে.... নারায়ণী নমস্তুতে ।"
আরও পড়ুন: পুজোয় 'দুর্গা ভারত' সম্মান দেবে রাজভবন, শরিক হতে পারেন আপনিও
তিনি আরও বলেন, "কলাক্রান্তি উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা ৷ সেটাকে সযত্নে লালন পালন করা । ভারতবর্ষে ঐতিহ্যকে বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করাই হল কলাক্রান্তি ভাবনার মূল লক্ষ্য। আসুন আজ মাকে সাক্ষী রেখে এই শপথ গ্রহণ করি যে, ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে । হিংসার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে । আমাদের সংগ্রাম চলবে ।" রাজ্যপাল তাঁর বার্তায় উল্লেখ করেন, পুরনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ভ্রষ্টাচার হল রক্তবীজ আর হিংসা হল নরকাসুর । যেমন মা দুর্গা মহিষাসুরকে এবং মা কালী রক্তবীজকে বধ করেছিলেন । ভ্রষ্টাচারকে শেষ করার শপথ নেন । ভগবান কৃষ্ণ যেমন নরকাসুরকে বধ করেছিলেন সেইরকম হিংসাকে শেষ করার শপথ নেন তিনি ।