ETV Bharat / state

Governor Appoints VC: এক রাতেই 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 4, 2023, 9:47 AM IST

উপাচার্য না থাকায় সমস্যা হচ্ছে এমন 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল ৷ তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়, বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণীয় মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত 16টি বিশ্ববিদ্যালয় ৷

Etv Bharat
রাজভবনে রাজ্যপাল

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: এতদিন উপাচার্য ছিলেন না এমন সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তিনি রাজ্যের প্রায় 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়, বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণীয় মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। উপাচার্য না থাকার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে সমস্যায় পড়ছিল তার সমাধানেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

দিনকয়েক আগে রাজ্যপাল জানান, রাজ্যের যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই সেখানে তিনি নিজেই ওই বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। এবার সেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন তিনি। মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের যে সংঘাত ছিল তা আরও বড় আকার নিল বলেই মনে করছে । কারণ এক্ষেত্রেও উপাচার্য নিয়োগের উচ্চশিক্ষা দফতর কিংবা সার্চ কমিটির কোনও ভূমিকা ছিল না।

Raj Bhavan
বিজ্ঞপ্তি
এদিকে গত শনিবার রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট জানানো হয় যে, আচার্যের পর এবার উপাচার্যই সব । মানতে হবে না সরকারকে । এমনকী বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশের বদলে উপাচার্যের নির্দেশ মেনে চলতে হবে তাঁদের। আচার্যের পরে উপাচার্যই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যদিও এই পুরো বিষয়ে আইনি পরামর্শের কথা একাধিকবার বলেছেন । সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। মূলত উচ্চশিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনেই কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার থেকে শুরু করে অন্য পদাধিকারীরা। তবে এবার তাতেই বদল হল। রেজিস্টারকেও মানতে হবে উপাচার্যের কথা ।


নানা সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকে একাধিক সমস্যার কথা উঠে এসেছে। সেই সমস্যা সমাধানে উপাচার্যরা একাধিকবার আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে দরবারও করেছেন । প্রয়োজনে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা । তারই ভিত্তিতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি, বলা হয়েছে উপাচার্য বা সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্টারই হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চালিকা শক্তি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই তাঁরা নিজেদের মধ্যে পরস্পরিক সহযোগিতা রেখে কাজ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। উচ্চশিক্ষা দফতর কিংবা সরকারি নির্দেশ তারা মানতে বাধ্য নন। এরকমভাবেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজভবনের সংঘাত ক্রমেই বাড়তে শুরু হয়েছে । তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামহল একপ্রকার বিরক্ত বলাই চলে । রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা রকম প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করছে শিক্ষামহলের একটা বড় অংশ।

আরও পড়ুন : উপাচার্যের ভূমিকা পালন করে পড়ুয়াদের উপকারই করছেন রাজ্যপাল, মত প্রাক্তন রাজ্যপালের

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: এতদিন উপাচার্য ছিলেন না এমন সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তিনি রাজ্যের প্রায় 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়, বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণীয় মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত 16টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। উপাচার্য না থাকার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে সমস্যায় পড়ছিল তার সমাধানেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ বলে রাজভবন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

দিনকয়েক আগে রাজ্যপাল জানান, রাজ্যের যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেই সেখানে তিনি নিজেই ওই বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন। এবার সেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন তিনি। মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের যে সংঘাত ছিল তা আরও বড় আকার নিল বলেই মনে করছে । কারণ এক্ষেত্রেও উপাচার্য নিয়োগের উচ্চশিক্ষা দফতর কিংবা সার্চ কমিটির কোনও ভূমিকা ছিল না।

Raj Bhavan
বিজ্ঞপ্তি
এদিকে গত শনিবার রাজভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট জানানো হয় যে, আচার্যের পর এবার উপাচার্যই সব । মানতে হবে না সরকারকে । এমনকী বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশের বদলে উপাচার্যের নির্দেশ মেনে চলতে হবে তাঁদের। আচার্যের পরে উপাচার্যই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যদিও এই পুরো বিষয়ে আইনি পরামর্শের কথা একাধিকবার বলেছেন । সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। মূলত উচ্চশিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনেই কাজ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার থেকে শুরু করে অন্য পদাধিকারীরা। তবে এবার তাতেই বদল হল। রেজিস্টারকেও মানতে হবে উপাচার্যের কথা ।


নানা সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকে একাধিক সমস্যার কথা উঠে এসেছে। সেই সমস্যা সমাধানে উপাচার্যরা একাধিকবার আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে দরবারও করেছেন । প্রয়োজনে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা । তারই ভিত্তিতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি, বলা হয়েছে উপাচার্য বা সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্টারই হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চালিকা শক্তি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই তাঁরা নিজেদের মধ্যে পরস্পরিক সহযোগিতা রেখে কাজ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। উচ্চশিক্ষা দফতর কিংবা সরকারি নির্দেশ তারা মানতে বাধ্য নন। এরকমভাবেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজভবনের সংঘাত ক্রমেই বাড়তে শুরু হয়েছে । তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামহল একপ্রকার বিরক্ত বলাই চলে । রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা রকম প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করছে শিক্ষামহলের একটা বড় অংশ।

আরও পড়ুন : উপাচার্যের ভূমিকা পালন করে পড়ুয়াদের উপকারই করছেন রাজ্যপাল, মত প্রাক্তন রাজ্যপালের

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.