কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় আগেই তলব করেছিলেন উপাচার্যকে ৷ ফোন করেছিলেন মুখ্যসচিবকেও ৷ এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর গাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ৷ এর মাঝেই রাজ্যপালের কাছে পৌঁছান বাবুল সুপ্রিয় ৷ ওঠেন তাঁর গাড়িতে ৷ কিন্তু, বের হতে গেলে গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ ৷ পরে তিন নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যায় তাঁদের গাড়ি ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়েছে, এই খবর পেয়েই উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ বাবুল সুপ্রিয়কে "আটক" করে রাখার ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন জেনেও কেন এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটল? সে বিষয়ে তদন্তের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশ দেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর ৷
এদিকে মুখ্যসচিবকেও তিনি ফোন করেন বলে সূত্রের খবর ৷ উপযুক্ত পদক্ষেপ করার কথাও নাকি বলেন ৷
ঘটনার সূত্রপাত আজ দুপুরে ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP-র নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ তখনই SFI ও অন্য সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি ৷ গো ব্যাক স্লোগান তুলে লাল-কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্ররা ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থানে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয় ৷ কে পি বসু মেমোরিয়াল হলের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে বোতল ও ইট ছোড়া হয় ৷ ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখেই তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ৷
এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দায়ি করেছেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ ঘটনাস্থান থেকে তাঁকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন উপাচার্য ৷ কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে রাজি হননি তিনি ৷
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (I) জাভেদ শামিম বলেন, "কনভেনশনালি পুলিশ নিজে থেকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠালে তবেই তারা যেতে পারে ৷ তাই এক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার ছিল না ৷"