কলকাতা, 13 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বহু অভিযোগ জমা পড়েছে রাজভবনের পিস রুমে ৷ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সেগুলি আদালতে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন ৷ এদিকে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী নির্দেশের উপর ৷
রাজ্যপালের নির্দেশ , রাজভবনের পিস রুমে জমা পড়া 7 হাজার 500টি অভিযোগ যেন কমিশন হাইকোর্টের কাছে পেশ করে ৷ এই সব অভিযোগের তদন্ত না-হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল নিয়ে এভাবেই আরও একবার কড়া পদক্ষেপ করলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চও নির্দেশে জানায়, "নির্বাচনের সময় আমরা একের পর এক নির্দেশ দিয়েছি ৷ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সেগুলি ঠিকমতো মেনে চলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছি ৷ পঞ্চয়েত ভোট, গণনা- এখনও পর্যন্ত যাই হোক না কেন, সেই সবকিছু নির্ভর করছে পরবর্তী নির্দেশের উপর ৷ আমরা নির্বাচিত প্রার্থীদের নোটিশ জারি করে জানাচ্ছি, আদালতের আগামী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে না ৷" বিচারবিভাগীয় তদন্তের পরই পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: ভোটের হিংসার জের, জনসাধারণের অভিযোগ শুনতে রাজভবনে খোলা হল 'শান্তি কক্ষ'
উল্লেখ্য, 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয় 8 জুন ৷ তারপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার ঘটনার খবর আসতে থাকে ৷ এর মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়, কোচিবহার ৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে খুন, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ তাঁর কাছে অভিযোগ জানান আমজনতা থেকে নেতা এবং রাজনৈতিক কর্মীরা ৷ এমতাবস্থায় 17 জুন রাজ্যপাল রাজভবনে পিস রুম খোলেন ৷ এখানে রাজ্যবাসী পঞ্চায়েত সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জমা দিতে পারবে বলে জানানো হয় ৷ তারপর থেকে রাজভবনে হাজারে হাজারে অভিযোগ জমা পড়ে ৷ এবার সেই সমস্ত অভিযোগ হাইকোর্টকে জানাতে কমিশনকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল ।