কলকাতা, 15 এপ্রিল: বিদায় 1429, স্বাগত 1430 ৷ আজ পয়লা বৈশাখ । বাংলা নতুন বছরের সূচনা ৷ নববর্ষ উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ নতুন বছরে রাজ্যপালের তরফে রাজ্যবাসীর জন্য নয়া উপহার রাজভবনের হেরিটেজ ওয়াক ৷ জনসাধারণের জন্য রাজভবনে প্রবেশাধিকারের ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল ৷ গত 29 মার্চ সেই উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে রাজভবনের চাবিও তুলে দেওয়া হয় ৷ অবশেষে আজ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকে তার সূচনা হচ্ছে ৷
শনিবার নানা অনুষ্ঠান ও সঙ্গীতের মাধ্যমে রাজভবন তার দরজা খুলে দিচ্ছে আমজনতার জন্য । রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এবং বর্ণময় উপায়ে সাধারণ মানুষকে স্বাগত জানাতে রাজভবন তার দরজা খোলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৷ রাজ্যপাল বোসের তরফে নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় বলা হয়েছে,'পয়লা বৈশাখ' বাংলা নববর্ষের সূচনা করে । পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য দিন । বাংলা নববর্ষ রাজ্যের সকল মানুষের জন্য বয়ে আনুক শান্তি ও সমৃদ্ধি । এই নববর্ষ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করুক । রাজ্যপাল বলেছেন,"এই শুভ উপলক্ষে, আমি রাজ্যের জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই ।"
এদিন, সকাল 7টায় শান্তির বার্তা দিয়ে দিনটি শুরু হবে । আয়োজন করা হয়েছে এক হাজার এনসিসি ক্যাডেটের একটি বর্ণাঢ্য শান্তি দৌড়ের, যা কলকাতার রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে । এনসিসি পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম দ্বারা আয়োজিত এই দৌড়টির রাজভবন থেকে সূচনা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এরপরেই রাজ্যপালের উদ্যোগে 200টি সাইকেল নিয়ে সাইক্লিস্টদের একটি ব্রিগেড রাস্তায় নামবে ৷
জন রাজভবনের উদ্যোগের অংশ হিসাবে ভারতীয় জাদুঘরের সহযোগিতায় রাজভবনে একটি হেরিটেজ ওয়াকের যে ঘোষণা করা হয়েছিল, আজ সকাল সাড়ে 10টায় তার সূচনা করা হবে । পয়লা বৈশাখের এই হেরিটেজ ওয়াকে ভারতের প্রতিটি রাজ্যের একজন প্রতিনিধি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং শিশুরা অংশগ্রহণ করবে । আবার, ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত 'কালা ক্রান্তি' মিশনের সূচনার অঙ্গ হিসেবে এদিন বিকাল 5টা থেকে জন রাজভবন গান, কবিতা এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের প্রাণময় ছন্দে মুখরিত হবে ।
আরও পড়ুন: আনন্দে ভরে উঠুক নতুন বছর, শুভেচ্ছা জানালেন রঞ্জিত-অঙ্কুশ-অনির্বাণরা
এদিন রাজ্যপালের উদ্যোগে 'আনন্দ ধারা' অনুষ্ঠানও আয়োজিত হবে রাজভবনে ৷ ইতিমধ্যেই নববর্ষের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেজে উঠেছে রাজভবন ৷ ভবনের বাইরের গেটে তৈরি হয়েছে বিশেষ তোরণ ৷ যা সাজিয়ে তোলা হয়েছে পটচিত্র, ঝালর যুক্ত তালপাতার হাতপাখা ও লাল কাপড় দিয়ে ৷