ETV Bharat / state

কোরোনা লড়াইয়ে কলকাতা পুলিশের ঢাল এবার বিশেষ মাস্ক - Musk

কলকাতা পুলিশ এবার নিজের উদ্যোগে বানিয়ে ফেলল বিশেষ মাস্ক । কোরোনা থেকে সুরক্ষা দিতে এই মাস্ক কার্যকরী হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 15, 2020, 9:31 AM IST

কলকাতা, 15 এপ্রিল : লড়াইটা লড়তে হচ্ছে সামনে থেকে । যুদ্ধটা বেশ ঝুঁকির । সামনের শত্রু অদৃশ্য! এই পরিস্থিতিতে নিতে হবে বিশেষ ধরনের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা । তাই পুলিশ নিজের উদ্যোগে বানিয়ে ফেলল ফেস সিলড মাস্ক । অশান্তির বিক্ষোভে যেমন ইট-পাথরের হাত থেকে বাঁচায় বেত কিংবা ফাইবারের ঢাল । তেমনই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বিশেষ মাস্ক কার্যকর হবে বলে মনে করছে পুলিশ । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও একমত । আর তাই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর কাছে পৌঁছে গেছে সেই মাস্ক । কয়েকদিনের মধ্যেই অন্যদেরও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে ।

দিন পাঁচেক আগের কথা । পঞ্জাব পুলিশ গ্রেপ্তার করে এক বাইক চোরকে । বেশ কয়েকটি বাইক চুরির মামলায় 24 বছরের ওই যুবককে খুঁজছিল পুলিশ । আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই যুবককে । পুলিশ হেপাজতে থাকাকালীন ওই অভিযুক্তের কোরোনা উপসর্গ দেখা দেয় । টেস্ট করা হলে তার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । মাথায় হাত পড়ে পঞ্জাব পুলিশের । 17 জন পুলিশকর্মী সহ আদালতের বিচারককে যেতে হয় কোয়ারানটাইনে। গোটা দেশের পুলিশ মহলকে এই ঘটনা কিছুটা হলেও আতঙ্কিত করেছে । কলকাতা শহরে নাকা চেকিংয়ের জন্য প্রতিদিন পথে থাকতে হচ্ছে পুলিশকে । লকডাউনে যাতে প্রয়োজনে মানুষ না বের হন সেটিও দেখতে হচ্ছে । আবার পাকড়াও করতে হচ্ছে অন্য অপরাধীদের । তাঁদের ক্ষেত্রেও যদি একই ঘটনা ঘটে! পুলিশের শীর্ষকর্তারা মেনে নিচ্ছেন, ঝুঁকি তো থেকেই যাচ্ছে। তাহলে উপায় ?


উপায় একটাই । সরকারি নির্দেশনামা মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা । কিন্তু অপরাধী ধরতে গিয়ে সেটা সম্ভব ? এক মিটার দূরত্ব থেকে গ্রেপ্তার করা যাবে কী করে ? বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন বড়বাজার থানার অফিসার ইন-চার্জ । তারপর তিনি বানিয়ে ফেলেছেন, ফুল ফেস সিলড মাস্ক । যা চোখ, নাক এবং মুখের উপর একটা প্লাস্টিকের আবরণ । যা কোরোনা ভাইরাস সরাসরি চোখ, মুখ বা নাকে ঢোকার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয় । বিদেশে অনেক হাসপাতালে কর্মীরা PPEর পরেও এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বড়বাজার থানার OC এই মাস্ক তৈরি করার পর ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চান । বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে লালবাজার বুঝেছে, এটি অত্যন্ত কার্যকরী হবে । তারপরেই শুরু হয়ে গেছে ব্যাপক হারে সেটি তৈরির কাজ । ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে তুলে দেওয়া হয়েছে এই মাস্ক । আগামী দিনে অন্যদেরও এই মাস্ক পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে ।

কলকাতা, 15 এপ্রিল : লড়াইটা লড়তে হচ্ছে সামনে থেকে । যুদ্ধটা বেশ ঝুঁকির । সামনের শত্রু অদৃশ্য! এই পরিস্থিতিতে নিতে হবে বিশেষ ধরনের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা । তাই পুলিশ নিজের উদ্যোগে বানিয়ে ফেলল ফেস সিলড মাস্ক । অশান্তির বিক্ষোভে যেমন ইট-পাথরের হাত থেকে বাঁচায় বেত কিংবা ফাইবারের ঢাল । তেমনই কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বিশেষ মাস্ক কার্যকর হবে বলে মনে করছে পুলিশ । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও একমত । আর তাই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীর কাছে পৌঁছে গেছে সেই মাস্ক । কয়েকদিনের মধ্যেই অন্যদেরও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে ।

দিন পাঁচেক আগের কথা । পঞ্জাব পুলিশ গ্রেপ্তার করে এক বাইক চোরকে । বেশ কয়েকটি বাইক চুরির মামলায় 24 বছরের ওই যুবককে খুঁজছিল পুলিশ । আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ওই যুবককে । পুলিশ হেপাজতে থাকাকালীন ওই অভিযুক্তের কোরোনা উপসর্গ দেখা দেয় । টেস্ট করা হলে তার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । মাথায় হাত পড়ে পঞ্জাব পুলিশের । 17 জন পুলিশকর্মী সহ আদালতের বিচারককে যেতে হয় কোয়ারানটাইনে। গোটা দেশের পুলিশ মহলকে এই ঘটনা কিছুটা হলেও আতঙ্কিত করেছে । কলকাতা শহরে নাকা চেকিংয়ের জন্য প্রতিদিন পথে থাকতে হচ্ছে পুলিশকে । লকডাউনে যাতে প্রয়োজনে মানুষ না বের হন সেটিও দেখতে হচ্ছে । আবার পাকড়াও করতে হচ্ছে অন্য অপরাধীদের । তাঁদের ক্ষেত্রেও যদি একই ঘটনা ঘটে! পুলিশের শীর্ষকর্তারা মেনে নিচ্ছেন, ঝুঁকি তো থেকেই যাচ্ছে। তাহলে উপায় ?


উপায় একটাই । সরকারি নির্দেশনামা মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা । কিন্তু অপরাধী ধরতে গিয়ে সেটা সম্ভব ? এক মিটার দূরত্ব থেকে গ্রেপ্তার করা যাবে কী করে ? বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন বড়বাজার থানার অফিসার ইন-চার্জ । তারপর তিনি বানিয়ে ফেলেছেন, ফুল ফেস সিলড মাস্ক । যা চোখ, নাক এবং মুখের উপর একটা প্লাস্টিকের আবরণ । যা কোরোনা ভাইরাস সরাসরি চোখ, মুখ বা নাকে ঢোকার ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয় । বিদেশে অনেক হাসপাতালে কর্মীরা PPEর পরেও এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বড়বাজার থানার OC এই মাস্ক তৈরি করার পর ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চান । বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে লালবাজার বুঝেছে, এটি অত্যন্ত কার্যকরী হবে । তারপরেই শুরু হয়ে গেছে ব্যাপক হারে সেটি তৈরির কাজ । ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে তুলে দেওয়া হয়েছে এই মাস্ক । আগামী দিনে অন্যদেরও এই মাস্ক পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে লালবাজার সূত্রে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.