কলকাতা, 31 মে: রাজ্য শুরু হল চার বছর ডিগ্রি কোর্স। এই বছর থেকেই চার বছরের অনার্স করতে পারবেন পড়ুয়ারা। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চলতি বছেরই স্নাতকে চার বছরের পাঠক্রম চালু হবে কি না, সেজন্য গঠিত হয়েছিল 6 সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷ সেই কমিটির রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ করোনাকালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে নয়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে কেন্দ্রীয় সরকার।
মোদি সরকারে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনেই শুরু হচ্ছে এই বছরের শিক্ষাবর্ষ। প্রায় 34 বছর পর শিক্ষাক্ষেত্রে আসছে নতুন নিয়ম। জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল। অন্যান্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে এই জাতীয় শিক্ষানীতি। এই বছর রাজ্যে কী হবে, তা নিয়ে সংশয় উঠেছিল। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেই তাঁরা সিদ্ধান্তে আসবেন। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা দফতর। জাতীয় শিক্ষানীতি আদৌ জারি করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে রাজ্য সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। যে কমিটির মাথায় ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ৷
এক মাসের মধ্যে সেই কমিটি তাদের পরিকল্পনা সরকারের হাতে তুলে দেয়। সেই কমিটিতেও এই চার বছরের অনার্স কোর্স চালু করার পক্ষে। তারপরে উচ্চ শিক্ষা দফতর এটি বিবৃতি দেয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে চার বছরের ডিগ্রি কোর্স শুরু না-করলে বহু পড়ুয়া কেন্দ্রীয় স্তরে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। এর ফলে রাজ্যের বাইরে গিয়ে পড়ার প্রবণতা বাড়বে, তাই চার বছরের অনার্স কোর্স শুরু করা হচ্ছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে আরও একটা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তা হল কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভরতির যে প্রক্রিয়া তা এবছর হবে না। গতবারের ন্যায় প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক অনলাইনে পড়ুয়ারা ভরতি হতে পারবে।
আরও পড়ন: টালবাহানায় বাংলা, অধিকাংশ রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে চার বছরের অনার্স কোর্স
জাতীয় শিক্ষানীতি জারি করার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল একাধিক ছাত্র সংগঠন। সম্প্রতি এসএফআই 24 ঘণ্টার জন্য ধরনা দিয়েছিল শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে। এআইডিএসও একাধিকবার পথে নেমে আন্দোলন করেছে যাতে জাতীয় শিক্ষানীতি যাতে জারি না-হয় তার জন্য। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি জারি হলে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে বলেই দাবি করছে বাংলার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।