ETV Bharat / state

টানা অনশনে অসুস্থ আরও ৪ SSC চাকরিপ্রার্থী

১৪ দিন ধরে চলতে থাকা এই অনশনে এখনও পর্যন্ত ৫১জন অসুস্থ হয়েছেন

অনশনরত চাকরিপ্রার্থীরা
author img

By

Published : Mar 13, 2019, 4:08 AM IST

কলকাতা, ১৩ মার্চ : আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে সোমবার থেকেই রিলে অনশনের বদলে টানা অনশন শুরু করেছেন ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC চাকরিপ্রার্থীরা। অনশনের জেরে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চারজন। এর আগে রিলে অনশন চলাকালীন মঞ্চেই গর্ভপাত হয় দু'মাসের অন্তঃসত্ত্বার। ১৪ দিন ধরে চলতে থাকা এই অনশনে এখনও পর্যন্ত ৫১জন অসুস্থ হয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও অনশন চালিয়ে যেতে চান চাকরিপ্রার্থীরা।

অর্পিতা দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “চারজন খুব অসুস্থ। তার মধ্যে একজন পেটে ব্যথা নিয়ে SSKM হাসপাতালে ভরতি। আরেক জনের জ্বর এসেছে। তিনিও SSKM-এ রয়েছেন। এছাড়া আমাদের কারও লো প্রেশার, কেউ আবার হাই প্রেশার নিয়ে এখানে টানা অনশনে বসে রয়েছেন। একজনকে দু'বার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তিনি একবার সকালে অসুস্থ হয়েছিলেন। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের পর তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু, এখানে আসার পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে আবার আমরা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।”

এক অনশনকারী আবার বলেন, “আগে আমরা ভগবানের জন্য উপোস করতাম। যাতে সংসার সুষ্ঠুভাবে চলে। আর এখন SSC-টা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি অনশন করে।" তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমরা আচার্য সদনে SSC-র চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গেছিলাম। উনি অফিসে না থাকায় দেখা হয়নি। এখন বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীদের আমাদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বুদ্ধিজীবী মহল ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের সমস্যা ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।" আজ আবার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

লাগু হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আর তার মধ্যে এই আন্দোলনের দাবি কি যুক্তিসঙ্গত ? অর্পিতা দাস বলেন, “আমাদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। কেন না আমাদের প্রসেসিংটা ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। গেজেট নোটিফিকেশনের সঙ্গে আমাদের নোটিফিকেশন সব ২০১৬ সালের। নির্বাচন শুরু হল, তার আগে রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন দিয়েছে এটা তো নয়। তাই আমাদের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা এটা চালিয়ে যাব।”

অনশনকারী SSC প্রার্থীদের প্রথম থেকে একটাই দাবি। তা হল, ভ্যাকেন্সি আপডেট করে অনশনকারীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে শূন্যপদ আপডেটের সম্ভাবনা রয়েছে কি না সে প্রসঙ্গে SSC-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “আমি বলতে পারছি না। কারণ, যতক্ষণ না পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে চেয়ারম্যানের কাছে কোনও অ্যাপ্রুভ লিস্ট এবং নির্দেশ আসছে, তার আগে আমি কিছু করতে পারি না।”

কলকাতা, ১৩ মার্চ : আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে সোমবার থেকেই রিলে অনশনের বদলে টানা অনশন শুরু করেছেন ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC চাকরিপ্রার্থীরা। অনশনের জেরে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চারজন। এর আগে রিলে অনশন চলাকালীন মঞ্চেই গর্ভপাত হয় দু'মাসের অন্তঃসত্ত্বার। ১৪ দিন ধরে চলতে থাকা এই অনশনে এখনও পর্যন্ত ৫১জন অসুস্থ হয়েছেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও অনশন চালিয়ে যেতে চান চাকরিপ্রার্থীরা।

অর্পিতা দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “চারজন খুব অসুস্থ। তার মধ্যে একজন পেটে ব্যথা নিয়ে SSKM হাসপাতালে ভরতি। আরেক জনের জ্বর এসেছে। তিনিও SSKM-এ রয়েছেন। এছাড়া আমাদের কারও লো প্রেশার, কেউ আবার হাই প্রেশার নিয়ে এখানে টানা অনশনে বসে রয়েছেন। একজনকে দু'বার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তিনি একবার সকালে অসুস্থ হয়েছিলেন। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের পর তাঁকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু, এখানে আসার পর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে আবার আমরা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।”

এক অনশনকারী আবার বলেন, “আগে আমরা ভগবানের জন্য উপোস করতাম। যাতে সংসার সুষ্ঠুভাবে চলে। আর এখন SSC-টা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি অনশন করে।" তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমরা আচার্য সদনে SSC-র চেয়ারম্যানের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গেছিলাম। উনি অফিসে না থাকায় দেখা হয়নি। এখন বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীদের আমাদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বুদ্ধিজীবী মহল ও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের সমস্যা ছড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য।" আজ আবার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

লাগু হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আর তার মধ্যে এই আন্দোলনের দাবি কি যুক্তিসঙ্গত ? অর্পিতা দাস বলেন, “আমাদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। কেন না আমাদের প্রসেসিংটা ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। গেজেট নোটিফিকেশনের সঙ্গে আমাদের নোটিফিকেশন সব ২০১৬ সালের। নির্বাচন শুরু হল, তার আগে রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন দিয়েছে এটা তো নয়। তাই আমাদের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা এটা চালিয়ে যাব।”

অনশনকারী SSC প্রার্থীদের প্রথম থেকে একটাই দাবি। তা হল, ভ্যাকেন্সি আপডেট করে অনশনকারীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ে শূন্যপদ আপডেটের সম্ভাবনা রয়েছে কি না সে প্রসঙ্গে SSC-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “আমি বলতে পারছি না। কারণ, যতক্ষণ না পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে চেয়ারম্যানের কাছে কোনও অ্যাপ্রুভ লিস্ট এবং নির্দেশ আসছে, তার আগে আমি কিছু করতে পারি না।”

Intro:কলকাতা, ১ জানুয়ারি: অবশেষে শিকে ছিঁড়ল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাগ্যে। শেষ পর্যন্ত মিলল দূরশিক্ষার অনুমোদন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দূরশিক্ষা মাধ্যমে কোর্সের অনুমোদনের আপডেটেড তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে দূরশিক্ষার ১০টি কোর্সের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কোর্সগুলি ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অনুমোদনের সময়সীমা অর্থাৎ, ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়।Body:বহু দিনের প্রতিক্ষার পরে অনুমোদন পেয়ে কেমন লাগছে? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা দশটা কোর্সের অনুমোদন চেয়েছিলাম। সেই দশটাই পেয়েছি। আসলে আমাদের একটু কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়ে গেছিল। সেই জন্য একটু দেরি হল। আমাদের থেকে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল দিয়েছিলাম। কিন্তু ইলেকট্রনিক টান্সফার হয়েছিল তাই একটু কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়ে গেছিল। আমরা ছাত্রদের কথাই ভাবছি। উত্তরবঙ্গের যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা মাস্টার ডিগ্রিতে সরাসরি সুযোগ পাচ্ছে না তাঁদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ হয়ে যায় এটা আমরা কখনই চাইব না। আমরা এটাও চাইব না, তাঁরা রবীন্দ্রভারতী আসুক বা বর্ধমানের ডিসট্যান্স এজুকেশনে অ্যাডমিশন নিক। যেখানে এই সুযোগটা আমাদের ছিল। তাই ছাত্রদের কথা ভেবে আমরা আরো বেশি করে ঝাঁপিয়ে ছিলাম। আমরা খুশি। উত্তরবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রী যাঁরা সরাসরি মাস্টার্স করার সুযোগ পায় না তাঁদের কথা ভেবে আমরা আরও খুশি।” তিনি জানিয়েছেন, ভর্তির জন্য জানুয়ারি মাসেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।

এর আগে দূরশিক্ষার অনুমোদনের দু'টি তালিকা প্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। প্রথম তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৯ অগস্ট। সেই তালিকায় নাম ছিল না দূরশিক্ষা ব্যবস্থা আছে রাজ্যের এমন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ওই তালিকায় শুধুমাত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯টি কোর্স ও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯টি কোর্স দু'টি শিক্ষাবর্ষের জন্য চালু রাখার অনুমোদন দেয় UGC। যদিও, তালিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি কমিশন জানায়, যে সব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পায়নি তারা ৩০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট মাণদণ্ড পূরণ করে আবার আবেদন করতে পারবেন। মূলত পরিকাঠামো উন্নত করার কমিশনের মাণদণ্ডগুলি পূরণ করে ফের UGC-র কাছে আবেদন করে প্রথম তালিকা থেকে ব্রাত্য চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হল রবীন্দ্রভারতী, উত্তরবঙ্গ, বিদ্যাসাগর ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।

ওই বছরেরই ৩ অক্টোবর UGC প্রকাশ করে দ্বিতীয় অনুমোদনের তালিকা। এই তালিকায় রাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও ফের ব্রাত্য রয়ে যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় তালিকায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ১১টি দূরশিক্ষা কোর্সই ২০১৮-’১৯ থেকে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন পায়‌। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৫টির মধ্যে মাত্র ৭টি কোর্স চালু রাখার অনুমোদন পায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়কে ৮টি দূরশিক্ষার কোর্স চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয় কমিশন। সঙ্গে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও একটি ও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও পাঁচটি কোর্সের অনুমোদন দেয়। গতকাল আর একটি অনুমোদনের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

অবশেষে নতুন তালিকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে দূরশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বহু প্রতিক্ষার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মোট ১০টি কোর্স চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন পেল তারা। এ ছাড়া, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ৪টি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ২টি, নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ৬টি কোর্সের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ২০১৮-’১৯ থেকে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত দূরশিক্ষার এই সব কোর্সগুলি চালিয়ে যেতে পারবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

গত বছর দূরশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন নিয়ম প্রকাশ করে UGC। যেখানে বলা হয়, ৩.২৬ CGPA রেটিং না থাকলে দূরশিক্ষা ব্যবস্থা চালাতে পারবে না দেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। পরে নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, আগামী ন্যাক পরিদর্শন পর্যন্ত দূরশিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আবেদন করতে হবে কমিশনের কাছে।Conclusion:বহু দিনের প্রতিক্ষার পরে অনুমোদন পেয়ে কেমন লাগছে? উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা দশটা কোর্সের অনুমোদন চেয়েছিলাম। সেই দশটাই পেয়েছি। আসলে আমাদের একটু কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়ে গেছিল। সেই জন্য একটু দেরি হল। আমাদের থেকে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল দিয়েছিলাম। কিন্তু ইলেকট্রনিক টান্সফার হয়েছিল তাই একটু কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়ে গেছিল। আমরা ছাত্রদের কথাই ভাবছি। উত্তরবঙ্গের যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা মাস্টার ডিগ্রিতে সরাসরি সুযোগ পাচ্ছে না তাঁদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ হয়ে যায় এটা আমরা কখনই চাইব না। আমরা এটাও চাইব না, তাঁরা রবীন্দ্রভারতী আসুক বা বর্ধমানের ডিসট্যান্স এজুকেশনে অ্যাডমিশন নিক। যেখানে এই সুযোগটা আমাদের ছিল। তাই ছাত্রদের কথা ভেবে আমরা আরো বেশি করে ঝাঁপিয়ে ছিলাম। আমরা খুশি। উত্তরবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রী যাঁরা সরাসরি মাস্টার্স করার সুযোগ পায় না তাঁদের কথা ভেবে আমরা আরও খুশি।” তিনি জানিয়েছেন, ভর্তির জন্য জানুয়ারি মাসেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।

এর আগে দূরশিক্ষার অনুমোদনের দু'টি তালিকা প্রকাশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। প্রথম তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৯ অগস্ট। সেই তালিকায় নাম ছিল না দূরশিক্ষা ব্যবস্থা আছে রাজ্যের এমন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ওই তালিকায় শুধুমাত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯টি কোর্স ও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯টি কোর্স দু'টি শিক্ষাবর্ষের জন্য চালু রাখার অনুমোদন দেয় UGC। যদিও, তালিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি কমিশন জানায়, যে সব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পায়নি তারা ৩০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট মাণদণ্ড পূরণ করে আবার আবেদন করতে পারবেন। মূলত পরিকাঠামো উন্নত করার কমিশনের মাণদণ্ডগুলি পূরণ করে ফের UGC-র কাছে আবেদন করে প্রথম তালিকা থেকে ব্রাত্য চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হল রবীন্দ্রভারতী, উত্তরবঙ্গ, বিদ্যাসাগর ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।

ওই বছরেরই ৩ অক্টোবর UGC প্রকাশ করে দ্বিতীয় অনুমোদনের তালিকা। এই তালিকায় রাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও ফের ব্রাত্য রয়ে যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় তালিকায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ১১টি দূরশিক্ষা কোর্সই ২০১৮-’১৯ থেকে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন পায়‌। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৫টির মধ্যে মাত্র ৭টি কোর্স চালু রাখার অনুমোদন পায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়কে ৮টি দূরশিক্ষার কোর্স চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয় কমিশন। সঙ্গে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও একটি ও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও পাঁচটি কোর্সের অনুমোদন দেয়। গতকাল আর একটি অনুমোদনের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

অবশেষে নতুন তালিকায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে দূরশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বহু প্রতিক্ষার পর ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মোট ১০টি কোর্স চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন পেল তারা। এ ছাড়া, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ৪টি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ২টি, নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ৬টি কোর্সের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ২০১৮-’১৯ থেকে ২০১৯-’২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত দূরশিক্ষার এই সব কোর্সগুলি চালিয়ে যেতে পারবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।

গত বছর দূরশিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন নিয়ম প্রকাশ করে UGC। যেখানে বলা হয়, ৩.২৬ CGPA রেটিং না থাকলে দূরশিক্ষা ব্যবস্থা চালাতে পারবে না দেশের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। পরে নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, আগামী ন্যাক পরিদর্শন পর্যন্ত দূরশিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আবেদন করতে হবে কমিশনের কাছে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.