ETV Bharat / state

Children Death in West Bengal: বিসি রায় হাসাপাতালে আরও চার শিশুর মৃত্যু, পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন - শিশুমৃত্যু

রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিসি রায় হাসপাতালে আরও চার শিশুর মৃত্যু হল (Four Children lost lives at B C Roy Hospital) ৷ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হাসপাতালের বেহাল পরিকাঠামো ও পরিষেবা ৷

Four more Children lost lives at B C Roy Hospital
শিশু কোলে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে
author img

By

Published : Mar 13, 2023, 5:58 PM IST

কলকাতা, 13 মার্চ: চিকিৎসকরা আশ্বাসবাণী শোনালেও রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা (Children Death in West Bengal) অব্যাহত ৷ রবিবার রাত 8টা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে আরও চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে (Four Children lost lives at B C Roy Hospital) ৷ এমন ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি হাসপাতালে পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়েও তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ৷ সোমবার হাসপাতাল চত্বরে গুরুতর অসুস্থ একটি শিশুকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে কোলে করে নিয়ে যেতে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের ৷ এমনকী, শিশুর শরীরে লাগানো স্য়ালাইনের বোতল এবং সঙ্গের অক্সিজেন সিলিন্ডারও বয়ে নিয়ে যেতে হয় তাঁদের ! চোখে পড়েনি কোনও ট্রলি বা হুইলচেয়ার ৷ পরিবারটির সঙ্গে ছিলেন না হাসপাতালের কোনও স্বাস্থ্যকর্মীও ৷

রবিবার রাত 8টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা 5 মাসের এক শিশুকন্যার ৷ তার নাম মারিয়া মণ্ডল ৷ জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মারিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ এরপর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই রাত 11টা নাগাদ উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা একটি শিশুর মৃত্যু হয় ৷ তারও জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিল ৷ এরপর সোমবার ভোররাত 1টা নাগাদ প্রাণ যায় আরও এক শিশুর ৷ সোমবার সকাল 8টা 40 মিনিটে মৃত্যু হয় চতুর্থ শিশুটির ৷ 10 মাসের ওই শিশুর বাড়ি উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত হাদিপুর এলাকায় ৷ মৃত চতুর্থ শিশুর পরিবারের দাবি, সে অ্য়াডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত ছিল ৷ এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এই বৈঠকে থাকবেন ৷ ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন বেশ কয়েকজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৷

এদিকে, রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে ৷ সোমবার ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি পৌঁছে যান বিসি রায় হাসপাতালে ৷ সেখানে দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য ৷ গুরুতর অসুস্থ সন্তানকে কোলে নিয়ে কার্যত দৌড়তে দেখা যায় এক মহিলাকে ৷ ছোট্ট শিশুটি তখন প্রায় অচেতন ৷ তার মুখে লাগানো অক্সিজেন মাস্ক ৷ হাতে লাগানো রয়েছে স্য়ালাইনের সূচ ৷ অক্সিজেনের ভারী সিলিন্ডারটি কাঁধে তুলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শিশুর পরিবারের এক পুরুষ সদস্য ৷ স্যালাইনের বোতল ধরে রয়েছেন আরও এক মহিলা ৷ এভাবেই শিশুটিকে হাসপাতালের একটি বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা !

আরও পড়ুন: 2 মাসে রাজ্যে অন্তত 123 শিশুর মৃত্যু, গরম বাড়ায় কমছে রোগের প্রকোপ

প্রসঙ্গত, গত দু'মাসে রাজ্যে অন্তত 147টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ তবে এই তথ্য সরকারি নয় ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত 7 মার্চ থেকে 13 মার্চ পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনটি শিশুর ৷ বনগাঁর বাগদার বাসিন্দা একটি শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় গত 2 মার্চ ৷ তার মৃত্যু হয় 7 মার্চ ৷ 5 মাস 26 দিনের ওই শিশু অ্য়াডিনোয় আক্রান্ত ছিল ৷ গত 28 ফেব্রুয়ারি আরজি করে ভরতি হয় গাইঘাটার বাসিন্দা একটি শিশু ৷ 4 মাস 2 দিনের ওই শিশুর নাম ঋষভ সিকদার ৷ সেও অ্য়াডিনো পজিটিভ ছিল ৷ ঋষভের মৃত্যু হয় গত 9 মার্চ ৷ এছাড়া, অ্য়াডিনো আক্রান্ত আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয় গত 11 মার্চ ৷ শিশুটির বয়স 7 মাস ৷ গত 7 মার্চ এপিসি রোডের বাসিন্দা ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷

কলকাতা, 13 মার্চ: চিকিৎসকরা আশ্বাসবাণী শোনালেও রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা (Children Death in West Bengal) অব্যাহত ৷ রবিবার রাত 8টা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে আরও চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে (Four Children lost lives at B C Roy Hospital) ৷ এমন ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক যেমন বাড়ছে, পাশাপাশি হাসপাতালে পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়েও তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ৷ সোমবার হাসপাতাল চত্বরে গুরুতর অসুস্থ একটি শিশুকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে কোলে করে নিয়ে যেতে দেখা যায় পরিবারের সদস্যদের ৷ এমনকী, শিশুর শরীরে লাগানো স্য়ালাইনের বোতল এবং সঙ্গের অক্সিজেন সিলিন্ডারও বয়ে নিয়ে যেতে হয় তাঁদের ! চোখে পড়েনি কোনও ট্রলি বা হুইলচেয়ার ৷ পরিবারটির সঙ্গে ছিলেন না হাসপাতালের কোনও স্বাস্থ্যকর্মীও ৷

রবিবার রাত 8টা নাগাদ বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তর 24 পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা 5 মাসের এক শিশুকন্যার ৷ তার নাম মারিয়া মণ্ডল ৷ জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মারিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ এরপর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই রাত 11টা নাগাদ উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা একটি শিশুর মৃত্যু হয় ৷ তারও জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিল ৷ এরপর সোমবার ভোররাত 1টা নাগাদ প্রাণ যায় আরও এক শিশুর ৷ সোমবার সকাল 8টা 40 মিনিটে মৃত্যু হয় চতুর্থ শিশুটির ৷ 10 মাসের ওই শিশুর বাড়ি উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত হাদিপুর এলাকায় ৷ মৃত চতুর্থ শিশুর পরিবারের দাবি, সে অ্য়াডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত ছিল ৷ এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এই বৈঠকে থাকবেন ৷ ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন বেশ কয়েকজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ৷

এদিকে, রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে ৷ সোমবার ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি পৌঁছে যান বিসি রায় হাসপাতালে ৷ সেখানে দেখা যায় এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য ৷ গুরুতর অসুস্থ সন্তানকে কোলে নিয়ে কার্যত দৌড়তে দেখা যায় এক মহিলাকে ৷ ছোট্ট শিশুটি তখন প্রায় অচেতন ৷ তার মুখে লাগানো অক্সিজেন মাস্ক ৷ হাতে লাগানো রয়েছে স্য়ালাইনের সূচ ৷ অক্সিজেনের ভারী সিলিন্ডারটি কাঁধে তুলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন শিশুর পরিবারের এক পুরুষ সদস্য ৷ স্যালাইনের বোতল ধরে রয়েছেন আরও এক মহিলা ৷ এভাবেই শিশুটিকে হাসপাতালের একটি বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা !

আরও পড়ুন: 2 মাসে রাজ্যে অন্তত 123 শিশুর মৃত্যু, গরম বাড়ায় কমছে রোগের প্রকোপ

প্রসঙ্গত, গত দু'মাসে রাজ্যে অন্তত 147টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ তবে এই তথ্য সরকারি নয় ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত 7 মার্চ থেকে 13 মার্চ পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিনটি শিশুর ৷ বনগাঁর বাগদার বাসিন্দা একটি শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় গত 2 মার্চ ৷ তার মৃত্যু হয় 7 মার্চ ৷ 5 মাস 26 দিনের ওই শিশু অ্য়াডিনোয় আক্রান্ত ছিল ৷ গত 28 ফেব্রুয়ারি আরজি করে ভরতি হয় গাইঘাটার বাসিন্দা একটি শিশু ৷ 4 মাস 2 দিনের ওই শিশুর নাম ঋষভ সিকদার ৷ সেও অ্য়াডিনো পজিটিভ ছিল ৷ ঋষভের মৃত্যু হয় গত 9 মার্চ ৷ এছাড়া, অ্য়াডিনো আক্রান্ত আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয় গত 11 মার্চ ৷ শিশুটির বয়স 7 মাস ৷ গত 7 মার্চ এপিসি রোডের বাসিন্দা ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.