কলকাতা, 13 অগস্ট: বিপন্ন প্রজাতি হিসাবে বাঘরোল বা ফিসিং ক্যাট সংরক্ষণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ পশ্চিমবঙ্গের চিড়িয়াখানাগুলিতে এই প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য চালু করা হচ্ছে প্রজনন কর্মসূচি ৷ এই কর্মসূচি অন্যান্য জায়গাতেও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী ৷ এই উদ্যোগ সফল হলে বাঘরোলগুলি 2024-র মধ্যে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷
রবিবার হাওড়ার গড়চুমুক জুলজিক্যাল গার্ডেনে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ৷ ধীরে ধীরে তা বাঁকুড়া বা ঝাড়গ্রামের মতো জেলা-সহ উত্তরের বেশ কিছু জায়গায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ৷
সংরক্ষণ প্রজনন কর্মসূচি হল আবাসস্থলের ক্ষতি, আবাসস্থল বিভক্তিকরণ, শিল্পায়ন, শিকার, অবৈধ বাণিজ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিপুল সংখ্যক নির্মূল চাপের কারণে বন্য অঞ্চলে একটি প্রজাতিকে সংরক্ষণ করার বিজ্ঞান ৷ সংরক্ষণ প্রজনন কর্মসূচির লক্ষ্য হল, প্রজাতির জিনগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা এবং প্রাকৃতিক বন্য আবাসস্থলে প্রজাতিকে পুনরুদ্ধার করা বা পুনঃপ্রবর্তন করা ৷ পশ্চিমবঙ্গ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব, সৌরভ চৌধুরী বলেন, "মোট ছয় থেকে আট জোড়া বাঘরোল 2024 সালে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশা করা যায় ।"
'বাঘরোল' বা 'ফিসিং ক্যাট' হল, একটি মাঝারি আকারের বন্য বিড়াল ৷ যা ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া যায় । এই বন্যপ্রাণীকে 'অসংরক্ষিত' প্রজাতি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার অনুসারে, এই বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে ৷ তাই তাদের সংরক্ষণ করা জরুরি ৷ আপাতত দক্ষিণ 24 পরগনার ঝড়খালি এলাকায় বাঘরোল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেই জায়গা ভালো করে দেখে নেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে ৷ এছাড়া হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বন দফতরের তরফে জায়গা খোঁজার উপরে জোর দেওয়া হবে ৷ এমনকী, শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি চিড়িয়াখানাতেও ফিসিং ক্যাট ছাড়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: নিউটাউনে হচ্ছে বহুতল বাস টার্মিনাস, একই ছাদের তলায় থাকবে অফিস-হোটেল-সহ নানা সুবিধা