কলকাতা, 8 এপ্রিল: ফের একবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় মাছের ডিম পাচারচক্র ৷ আর সেই পাচারচক্রের হদিশ মিলতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী । পাচারকারীরা যাতে কোনওভাবেই কাঁটাতার পেরতে না পারে এবং পাচার করতে না পারে তার জন্য় অতিরিক্ত সক্রিয় বিএসএফ। খবর পেলেই অভিযান চালিয়ে পাচার রুখে দুষ্কৃতীহের আটক করছে পুলিশ।
শনিবারও সোনা, রূপো, মাদক পাচার রোধের পাশাপাশি মাছের ডিম পাচারও রুখে দিল বিএসএফ। জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে 6 লক্ষ টাকার মাছের ডিম পাচার এদিন রুখে দিতে সফল হয়েছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, মোট 43টি প্লাস্টিক ব্যাগে করে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাছের ডিম পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে । জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার রানাঘাট সীমান্ত এলাকায় এই মাছের ডিম পাচার করা হচ্ছিল। বাজেয়াপ্ত মাছের ডিম বাগদা থানায় পাঠানো হয়েছে ৷ বিএসএফের তরফে জানা গিয়েছে, বাগদা থানার পুলিশ পরবর্তী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ৷
জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এদিন দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন 68 ব্যাটালিয়নের রানাঘাটের জওয়ানরা একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাছের ডিম ভর্তি 43টি প্লাস্টিকের ব্যাগ আটক করে । বাজেয়াপ্ত করা মাছের ডিমের বাজার মূল্য প্রায় 6 লক্ষ 45 হাজার টাকা । এসব মাছের ডিম চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে বিএসএফের আধিকারিকরা। বিএসএফ জানিয়েছে, সীমা চৌকি রানঘাটের টহলরত জওয়ানরা কুলিয়া মসজিদের পিছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে সন্দেহজনক অবস্থায় কয়েকজনকে দেখতে পায় ৷ চোরাকারবারী সন্দেহে তৎপর হয়ে ওঠে বিএসএফ। জওয়ানরা ধাওয়া করলে পাচারকারীরা অন্ধকার ও ঘন ঝোপের সুযোগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর ছেলে কি চাকরি পেতে পারে না, শুভেন্দুকে পালটা প্রশ্ন স্বপন দেবনাথের
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র একে আর্য্য বলেন, "চোরাচালানের সম্ভাব্য সমস্ত পথগুলিকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে । যাতে চোরাকারবারীরা তাদের পরিকল্পনা চালাতে না পারে ।" তিনি আরও বলেন, "বিএসএফ সদস্যরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ করতে দেবেন না ৷ চোরাচালান বা সীমান্তে কোনও অপরাধে জড়িত থাকলে কাউকেই ছাড়া হবে না ।"