কলকাতা, 14 অক্টোবর: বউবাজারে মদন দত্ত লেনে ফের বাড়িতে ফাটল ৷ শুক্রবার ভোরে কোনওরকমে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা ৷ এই বিপর্যয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তিনি জানালেন, রেল বোর্ডের আধিকারিকরা না আসা পর্যন্ত এর সমাধান হবে না ৷ তাঁরা এলে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মেয়র (KMC Mayor Firhad Hakim Reaction) ৷ তিনি আরও বলেন, "যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না । রেল বোর্ডের আধিকারিকরা না এলে এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব । আমার মনে হয় আলোচনায় সমস্যার সমাধানের পথ বের হবে ।"
তিনি বলেন, "আমি ইঞ্জিনিয়ার নই ৷ কিন্তু সেই ছোট থেকে আজ 25 বছর ধরে কাউন্সিলরের কাজ করেছি ৷ তাতে মনে হয় যে, আন্ডারগ্রাউন্ডে মেট্রোর টানেলের প্রেশারে কোথাও কোনও গণ্ডগোল হয়নি ৷ তাহলে অন্য জায়গাতেও এতক্ষণে কিছু কিছু বিপত্তি হত ৷" বউবাজারে মদন দত্ত লেনের বিপর্যয়ের জন্য তিনি মেশিনকে দায়ী করেন ৷ ফিরহাদ বলেন, "ওখানে একটা ওয়াটারপকেট তৈরি হয়েছে ৷ চারদিক দিয়ে জল চুঁইয়ে এসেছে ৷ এখন আবার ওই জলটা মাটি ধুয়ে ধুয়ে যাচ্ছে বলে আমার অনুমান ৷" তিনি বার বার বিশেষজ্ঞ দলের অনুসন্ধানের উপর জোর দেন ৷
আরও পড়ুন: Bowbazar Metro Work Crisis: ফের বউবাজারে ফাটল-আতঙ্ক! মদন দত্ত লেন ছাড়ছেন স্থানীয়রা
শুধু বিশেষজ্ঞ নয়, এই বিপর্যয় বারে বারে কেন হচ্ছে, তার জন্য দিল্লি থেকে মেট্রো রেলের উচ্চ আধিকারিকদের বউবাজারে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক এমনটাই চান কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ৷ তিনি বলেন, "এখানকার ছোটখাটো লেভেল অথবা যাঁরা কাজ নিয়েছেন, তাঁরা আসছেন ৷ তাঁরা জোড়াতাপ্পি দিয়ে চলে যাচ্ছেন ৷ এখানকার মানুষ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে রয়েছে ৷"
বিপর্যয় মোকাবিলা সম্পর্কে কলকাতা পৌরনিগমের মেয়রের মত, "ওই জায়গাটাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে মাটি তুলে নিয়ে একেবারে নীচ পর্যন্ত পাইলিং করতে হবে ৷ এরপর জায়গাটা সলিড করে যদি বাড়ি করে দেয় ৷ তবে আলাদা আলাদা বাড়ি নয় ৷ একটা বাড়িতে সবাইকে স্কোয়ার ফিট ভাগ করে দিতে হবে ৷" এভাবেই সমাধান হতে পারে বলে তিনি মনে করেন ৷ কারণ এই মূহূর্তে আইন অনুযায়ী গলির মধ্যে আলাদা আলাদা করে বাড়ি করা সম্ভব নয় ৷