কলকাতা, 13 অক্টোবর: সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে বহুদিন । তবে কলকাতা জুড়ে রমরমিয়ে এর ব্যবহার চলছে । এমতাবস্থায় এই নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের রমরমা ব্যবহার ঠেকাতে শুক্রবার এক নাগরিক অভিযোগ জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে । এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন মেয়র বলেন,"সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক ঠেকাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও বাকিদের সহযোগিতা পাচ্ছি না ।"
এদিন কালিকাপুর থেকে এক নাগরিক 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে ফোন করে বলেন, একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক পরিবেশের ক্ষতি করে । অনেক দিন আগেই তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে । কিন্তু এখানে এই প্লাস্টিক এখনও রমরমিয়ে চলছে । এটা জলে মেশে না পচে না। তবে রাসায়নিক ভাবে নানা ক্ষতিকর বস্তু ছড়ায় যা থেকে মানব দেহে বিভিন্ন রোগ হয় । তাই বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি । পরিবেশ নিয়ে সচেতন নাগরিকের এই দাবি প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "যে সমস্ত কারখানা এই সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক তৈরি করত পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে অভিযান চালিয়ে তেমন অনেকগুলি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে । কিন্তু বাগরি মার্কেট, বড়বাজারের বিভিন্ন দোকানে এই জিনিস বাইরে থেকে আসছে । কিছু জায়গায় থেকে, বিশেষ করে নেপাল থাকে প্লাস্টিক আসছে । ফলে বাইরে থেকে ট্রাকে করে বেআইনি প্লাস্টিক ঢুকছে । এগুলো আটকাতে কারও সহযোগিতা পাচ্ছি না।"
প্রথমে ৫০ মাইক্রন, পরবর্তী সময়ে ৭৫ মাইক্রনের নীচে দেশে সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল । সেই সূচক বাড়িয়ে করা হয় ১০০। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল দেশে ১ জুলাই ২০২২ থেকে দেশ জুড়ে ১২০ মাইক্রন নিচে সিঙ্গল ইউজড প্লাস্টিক নিষিদ্ধ। শুধু পলিথিন ব্যাগ নয় ১২০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহার অযোগ্য জিনিসও নিষিদ্ধ । কলকাতায় এখনও তার কোনও ছাপ পড়েনি ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের আপ্তসহায়ক সুমিত রায়কে তলব করল ইডি
তবে এদিন এই প্লাস্টিক ঠেকাতে মেয়রের মন্তব্যে জল্পনা তৈরি হয়েছে ৷ বিদেশ থেকে ট্রাকে মাল আসার বিষয়ে কি তাহলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে আঙুল তুললেন তিনি ? তবে এর পালটা বিরোধীরা অভিযোগ করেন, কলকাতার বাজারে নজরদারি কোথায় ? কেন অভিযান হয় না ? কর্তৃপক্ষ কি চোখ বন্ধ করে থাকেন, এখানে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার নেই । বিরোধীরা মনে করছে এটা আসলে দায় এড়ানোর জন্য অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেওয়ার মতোই বক্তব্য ।