কলকাতা, 29 এপ্রিল: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যে পৌর নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে । এরমধ্যে গ্রুপ-ডি নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়ম স্পষ্ট করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না, যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ হয়ে থাকে । এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি, পৌর নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম কোর্ট ইডি, সিবিআই তদন্তের উপর ক’দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করলেও পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিভাগীয় তদন্ত জারি রাখবে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন,"সমস্ত বিষয় খোঁজ নিয়ে দফতরের সচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছি ।" তাঁর কথায়, "একটা বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্রুপ-ডি নিয়োগের জন্য । কিন্তু গ্রুপ ডি নিয়োগে ওই সংস্থা কেন ? তাদের দক্ষতা পরীক্ষা করার দরকার রয়েছে । তদন্ত করতে দিয়েছি । তার রিপোর্ট এখনও পাইনি । শুনলাম হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । আবার সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে । তবে আমাদের বিভাগীয় তদন্ত চলবে । আমি তো এখনও বুঝতে পারছি না, এই নিয়োগে বেসরকারি সংস্থাকে কেন যুক্ত করা হল । আশা করছি, ডিএলবির তদন্তে সেই সত্যটা উঠে আসবে ।"
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার সঙ্গে রাজ্যের একাধিক পৌরসভার নিয়োগ দুর্নীতির প্রত্যক্ষভাবে যোগাযোগ ছিল ৷ এই তথ্যই উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তে ৷ জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের সংস্থা 'এ বি এস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড' দ্বারা পৌরসভাগুলিতে কর্মী নিয়োগের আড়ালে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে । দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর, হালিশহর, কামারহাটি পৌরসভার নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে । উত্তর ২৪ পরগনার 6 পৌরসভার প্রতি স্তরে নিয়োগ হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ইডিকে সব জানিয়েছেন, দাবি অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতার
2018-19 অর্থবর্ষের আগে কলকাতা কর্পোরেশন ছাড়া রাজ্যের কোনও পৌরনিগম বা মিউনিসিপ্যালিটি, মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্গত ছিল না । সেই সময় কলকাতা ছাড়া বাকি পৌরসভাগুলিতে কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব নিজ নিজ পৌরসভার চেয়ারম্যান বা সেই প্রতিষ্ঠান গঠিত কমিটি স্থির করত । 2018-19 অর্থবর্ষ থেকে রাজ্যে সবকটি পৌরনিগম এবং মিউনিসিপ্যালিটির কর্মী নিয়োগের বিষয়টি মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অন্তর্গত ।