কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: "আদালতের উপর ভরসা না থাকলে দেশে থাকারও অধিকার নেই !" শুক্রবার এভাবেই বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে আমরণ অনশনে বসা রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধিক্কার জানালেন রাজ্য়ের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim on Hunger Strike) ৷ উল্লেখ্য়, বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলনে বসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের সদস্যরা ৷ শহিদ মিনার ময়দানে প্রতীকী অনশন ও লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ এরই মধ্যে দুই আন্দোলনকারী আমরণ অনশন শুরু করেছেন ৷ সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন ফিরহাদ ৷
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলন নতুন নয় ৷ মাঝেমধ্য়েই এই দাবিতে মিটিং, মিছিল করেন তাঁরা ৷ এমনকী, বিধানসভা অভিযান, রাজ ভবন অভিযানও করা হয়েছে ৷ তবে, তাতে লাভ কিছুই হয়নি ৷ সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন একত্রে যৌথ মঞ্চ তৈরি করে ডিএ আন্দোলন জোরদার করে ৷ শহিদ মিনার ময়দানে খোলা আকাশের নীচে আন্দোলন শুরু করেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ৷ চলে প্রতীকী অনশন ৷ কিন্তু, এরই মধ্যে অবস্থান বিক্ষোভের জন্য জায়গা পাওয়া নিয়ে সরকারি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের ৷ এই অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা ৷ পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মেনেই চলে আন্দোলন ৷ কিন্তু, তারপরও বকেয়া ডিএ মেলার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না ৷ এর মধ্যে সুবিচারের আশায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনকড়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও চিঠি পাঠিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ৷ তারপরও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি ৷
আরও পড়ুন: ডিএ মেটানোর দাবিতে সরকারি অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান কর্মীদের ধর্ণমঞ্চে যোগদান
অন্যদিকে, এই আন্দোলন নিয়ে বরাবরই আক্রমণাত্বক থেকেছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য ফিরহাদ হাকিম ৷ এই আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি প্রথমেই দাবি করেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশই এই আন্দোলনে নেই ৷ যাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা আদতে সিপিএমের লোক !
সেই প্রেক্ষাপট টেনেই শুক্রবার ফের একবার আন্দোলনকারীদের তীব্র কটাক্ষ করেন ফিরহাদ ৷ তিনি বলেন, "আদালতে যাব, আবার অনশনও করব ! তা আবার হয় নাকি ? আদালতে মামলা চলছে ৷ তার মানে এই আন্দোলনকারীদের আদালতের উপর কোনও ভরসা নেই ৷" এরপরই ফিরহাদ বলেন, "যাঁদের আদালতের উপর ভরসা নেই, তাদের ভারতে থাকারও অধিকার নেই !"