কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: গুজরাতে টাটা টেসলার কারখানা তৈরি হতে চলেছে ৷ অথচ সিঙ্গুরে কারখানা গড়তে পারেনি টাটা ৷ এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে দুষছে বিজেপি । পালটা তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ তাঁর কথায়, "টাটা ন্যানো গুজরাতে ফেল করেছে কারণ সিঙ্গুরের অভিশাপ ছিল ৷"
সিঙ্গুর থেকে কারখানা গুটিয়ে সেই সময় গুজরাতের সানন্দে চলে গিয়েছিল টাটা । ন্যানো কারখানা বিরোধী সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ওই সময়ে গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি সানন্দে টাটা কোম্পানিকে জায়গা দিয়েছিলেন ন্যানো গাড়ি তৈরির জন্য । এবার গুজরাতে ফের টাটা টেসলার তৈরি করতে চলেছে । তবে সিঙ্গুর এখন সেই শ্মশানপুরী হয়ে রয়েছে । আর এই নিয়ে তৃণমূলকে আরও একবার কাঠগড়ায় তুলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ।
এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "যে কারখানা করতে বামফ্রন্ট কৃষককে জোর করে মেরে জমি নিয়েছে, সেই কারখানা যখন গুজরাতে সানন্দে যায় টাটা ন্যানো সেখানে চলেনি । ওখানে ন্যানো কারখানা চলেনি । যারা সেখানে কারখানা গড়ার জন্য জমি দিয়েছেন তারা সব হারিয়েছেন । না জমিতে চাষ হচ্ছে না কারখানায় চাকরি হয়েছে ৷ কিছুই হচ্ছে না ।"
গুজরাতে টাটা টেসলার কারখানা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, টাটা টেসলা খড়গপুরে আছে । এখানেও আমাদের অনেক ল্যান্ড ব্যাংক আছে ৷ অনেকে কারখানা গড়তে আসে । আমরা জমি দিই তাদের । টাটা ন্যানো ফেল করেছে কারণ সিঙ্গুরের অভিশাপ ছিল । তখনকার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে টাটাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন । সেখানকার জমিদাতা যারা ছিলেন তাঁরা কিছুই পায়নি। সেখানে তো গণতন্ত্র নেই । জোর করে জমি নিয়েছে তৎকালীন সরকার । না নিজের জমিতে চাষ করতে পেরেছে না কারখানায় কাজ পেয়েছেন জমিদাতারা ।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আরও একবার সিঙ্গুর আন্দোলন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ফিরহাদ হাকিম । পাশাপাশি জমি নেওয়া প্রসঙ্গে যেমন কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাও দিলেন তিনি ৷ পাশাপাশি ল্যান্ড ব্যাংকের কথা জানিয়ে শিল্প করতে রাজ্য যে প্রস্তুত তাও এ দিন মন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দিলেন ।
আরও পড়ুন: