কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: শহরে বড়দিনের আমেজ । কেক ও উপহারের আশায় কচিকাচা থেকে বড় সবার কাছেই ফেভারিট সান্তাক্লজ । এই আবহে রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র খুঁজে পেয়েছেন সান্তাকে । তাঁর কাছে সান্তা আর কেউ নন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বিষয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, "বাংলার প্রকৃত সান্তাক্লজ যদি কেউ থাকেন তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।"
বড়দিনের আবহে রবিবার কলকাতার 10 নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিসমাস কার্নিভালে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র । সেখানেই এমন পর্যবেক্ষণ তাঁর । 13 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা 3 নম্বর বরো চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউথ প্রত্যেক বছর ক্রিসমাস কার্নিভালের আয়োজন করেন । সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।
সেখানে গিয়ে তাঁর বক্তব্য, "আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখন বছরের এই সময়টায় শুয়ে ঘুম আসত না । ভাবতাম সান্তাক্লজ আসবে । সকালে দেখতাম, হয় খেলনা দিয়ে গিয়েছে, কিংবা চকোলেট দিয়ে গিয়েছে । অবশ্য সবটাই বাবা-মা দিতেন । তবে আমাদের বলতেন, সান্তাক্লজ দিয়েছে । তখন ভাবতাম, সান্তাক্লজটা কে ? সান্তাক্লজ কি সত্যিই আসে ? এখন আমি উপলব্ধি করছি, সান্তাক্লজ সত্যিই আছে। তিনি শুধু ক্রিসমাসের সময় নয়, সারাবছর আসেন ।"
এদিন ফিরহাদ আরও বলেন, "অর্থের অভাবে ছোট ছোট মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হলে তিনি সান্তাক্লজ হয়ে তাদের কন্যাশ্রীর টাকা দেন । যে গরিব বাবারা মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না, তাঁদের রূপশ্রী দেন এই সান্তাক্লজই । অসুস্থতার সময় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও দেন তিনি । জীবনে যা যা দরকার একজন বাংলার সেই সান্তাক্লজ কোনও না কোনওভাবেই তা দেওয়ার চেষ্টা করেন । আপনারা চেনেন এই সান্তাক্লজকে । তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলার আসল সান্তাক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উৎসবের দিনে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি, আমাদের সান্তাক্লজকে তিনি যেন আরও অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন । সুস্থ-সবল রাখেন ।"
আরও পড়ুন :
1 মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়েতে বরকর্তা ফিরহাদ ! কারণ জানালেন মমতা
2 'মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই বাংলায় শিল্প এসেছে', বার্সেলোনায় মমতার শিল্প-বৈঠক নিয়ে মন্তব্য ফিরহাদের
3 'মানুষ আসবে মানুষ যাবে, চেতলায় নতুন ফিরহাদ তৈরি হবে', ববির মন্তব্যে জল্পনা