কলকাতা, 16 মার্চ : সামনেই দোল পূর্ণিমা ৷ রঙিন হয়ে ওঠার দিন ৷ কিন্তু এবছর করোনা আবহে রং উৎসব অনেকটাই ফিকে ৷ কারণ শহরে ফের নতুন করে থাবা বসিয়েছে করোনা ৷ তাই নির্দিষ্ট করোনাবিধি মেনে রং খেলার আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ মুখে পরতে হবে মাস্ক ৷ বজায় রাখতে হবে সামাজিক দুরত্ব ৷
গোটা দেশের করোনা সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পেয়েছে । সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউন শুরু করেছে । করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ কারণ শহরে যে ক'টি কোয়ারানটাইন সেন্টার ও সেফ হোম ছিল সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ যদিও শহরে নিয়মিত ভাবে চলছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা । সেই সঙ্গেই চলছে করোনার টিকাকরণের কাজ।
আরও পড়ুন : সংবিধান ভেঙে বিজেপি প্রার্থী ! স্বপন দাশগুপ্তের সাংসদ পদ বাতিলের দাবি মহুয়ার
কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, " মানুষকে এখন আরও সচেতন হয়ে চলতে হবে। কলকাতা পৌরনিগম নতুন করে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ শুরু করেছে । নিয়মিতভাবে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও চলছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে । সেই সঙ্গে ইতিমধ্যে করোনার টিকাকরণের কাজও চলছে । তবে মানুষ সচেতন না হলে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাবে । যেহেতু কলকাতা পৌরনিগমের সেফহোমগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাই নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সমস্যা আরও বাড়বে ৷" তাই দোল পূর্ণিমা উৎসবে মানুষকে সচেতন হয়ে মুখে মাস্ক ও দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, " কলকাতায় করোনা সংক্রমণ কমে পঞ্চাশের নিচে এসে ঠেকেছিল । সেখানে কলকাতায় গত কয়েকদিনে করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন দিনে 100 জন ৷ গত দু'দিনে সেই সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দিনে 150 জন । সরকার এই মুহূর্তে লকডাউন ঘোষণা করেনি ঠিকই ৷ কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকলে সরকার লকডাউন করতে বাধ্য হবে ৷ তাই মানুষ যাতে অবাধে দোল পূর্ণিমায় সামিল না হন তার জন্য নিজেদের সচেতন হতে হবে ৷ "