কলকাতা, 12 মার্চ: বকেয়া ডিএ (DA) মেটানোর দাবিতে সম্প্রতি ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। পাশাপশি চালিয়ে যাচ্ছেন শহিদ মিনার ময়দানে অনশন। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কর্মীরা। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে অনশন মঞ্চে সরকারের তরফে চিকিৎসক পাঠানো নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের কথায়, "চিকিৎসক কেন পাঠাব ? নাটক করা আর আন্দোলন করা এক নয় ।" পাশাপশি তাঁর কথায়, "কেন্দ্র যেদিন তাঁদের প্রাপ্য দেবে তাঁরা সেদিন ডিএ দেবেন কর্মীদের (Firhad Hakim Slams DA Agitators)।"
অনশন মঞ্চে থাকা কর্মীদের একাংশ অসুস্থ হচ্ছেন । রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন । এর পাশাপাশি অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলে এসেছেন । কিন্তু রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট ৷ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা মিললে তবেই দেওয়া হবে ডিএ (DA)। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ জানান, যিনি টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না, তাঁকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া, যে পড়া ছেড়ে দিতে চাইছে তাকে কন্যাশ্রীর মাধ্যমে পড়ানো কর্তব্য । যে বাবা মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রূপশ্রী দেওয়া কর্তব্য । নাকি যে 40 হাজার টাকা পায় তাকে 50 হাজার দেওয়া হবে ? এটা হয় না ।
আরও পড়ুন: শহরজুড়ে বন্ধ সিনেমা, থিয়েটার হল! কিন্তু বছর বছর আসছে বিনোদন করের বিল
তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যেদিন আমাদের রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেবে বা যে সমস্ত খাতে কেন্দ্র টাকা কাটে সেটা বন্ধ করবে সেদিন নিশ্চিতভাবে কর্মীদের ডিএ দেব । কর্মীদের পাশে দাঁড়াব ।" এরপরেই অনশন মঞ্চে চিকিৎসক পাঠানো নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ফিরহাদ হাকিম উত্তরে বলেন, "নাটক করা বা আন্দোলন করা দু'টো আলাদা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করব আবার তাঁদের উপর আস্থা না-রেখে রাস্তায় আন্দোলন করব এটা হয় না।" প্রসঙ্গত, এদিন ফিরহাদ হাকিম বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের মোমিনপুর এলাকায় বিন্দুবাসিনী রোডে যান রাস্তার অবস্থা দেখতে। কারণ গত শুক্রবার এই এলাকা থেকে অভিযোগ গিয়েছিল 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে।