কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: খিদিরপুর দই ঘাট থেকে সোনারপুর পর্যন্ত সাড়ে 15 কিলোমিটার টালি নালার দু'পাশে ড্রেজিং এবং অন্যান্য সংস্কারের জন্য 32 কোটি টাকা খরচ হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশনের। কেন্দ্রীয় সাহায্যে এই প্রকল্পর অগ্রগতি সোমবার জলপথে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন বরো চেয়ারম্যান রত্না সুর ও জুঁই বিশ্বাস এবং কাউন্সিলর অসীম বসু। সেখানেই কাজ দেখতে গিয়ে দুইপারের জবরদখল করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ফিরহাদ।
এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম আদি গঙ্গা পরিদর্শন করার সময় আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, "মানুষ সচেতন নন। তাই গতবার ফাঁকা দেখে আসা অনেক নতুন এলাকা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। লোকজন টালি নালাকে ভ্যাট হিসেবে ব্যবহার করার খারাপ অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে এরকম একটা পরিত্যক্ত নোংরা খাল ছিল। এখন তার চেহারা দেখে অবাক হতে হয়। টালি নালাকেও একদিন এরকম চেহারায় দেখতে চান মেয়র। 2024 সালের মার্চ মাসের মধ্যে চেতলা থেকে কুদঘাট পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শেষ হবে।"
তিনি আরও বলেন, "তারপর সেখান থেকে সোনারপুর পর্যন্ত পলি তোলা এবং অন্যান্য সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পুরো কাজ শেষ হলে এই গোটা 16-17 কিলোমিটার এলাকায় দু'দিকেই ফেন্সিং দেবে কলকাতা কর্পোরেশন। ইতিমধ্যেই জাল লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে 111 নম্বর ওয়ার্ডে। গোটা আদিগঙ্গার দু'পাশেই হবে।"
সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রাপ্য অনুমোদন হয়ে গিয়েছে চলেও আসবে সেই টাকা। বহু বছর ধরেই এই আদি গঙ্গা মজে ছিল। জল এতটাই দূষিত যে দু'পাশের দেওয়াল গুলোয় কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে নির্দেশ দিয়ে লেখা আদি গঙ্গায় স্নান না-করা ও জল না-খাওয়ার জন্য। পাশাপশি জঞ্জাল ফেলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে দুইপারের লোকজনের মধ্যে বিন্দুমাত্র লোকজনের মধ্যে সচেতনটা নেই। যথেচ্ছভাবেই জঞ্জাল ফেলছে। অন্যদিকে দীর্ঘ দুই পারে যথেচ্ছভাবে গজিয়ে উঠেছে বেআইনি ঘর।
আরও পড়ুন: