কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উপর সাসপেনশনের খাঁড়া ঝুলছে ৷ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু আগামী সোমবার থেকে । সেদিনই তাঁকে নিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে এথিক্স কমিটি ৷ এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অথচ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে গত মঙ্গলবার সাসপেন্ড করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৷ প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি যদি মহুয়ার সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করে, তাহলে শুভেন্দুর ক্ষেত্রে নেওয়া সিদ্ধান্ত কি সঠিক ?
রাজ্য়ের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের অন্যতম নেতা ফিরহাদ হাকিম অবশ্য পুরো বিষয়টিকে এক করে দেখতে নারাজ ৷ তিনি শুভেন্দুর সাসপেনশনের পক্ষে ৷ এই নিয়ে তাঁর যুক্তি বিধানসভা কক্ষের অন্দরে অসভ্যতা করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ কিন্তু মহুয়া মৈত্র তো তেমন কোনও আচরণই করেননি বলে দাবি ফিরহাদের ৷ তাঁর বক্তব্য, শুধু আদানির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় প্রতিহিংসামূলক আচরণ করা হচ্ছে মহুয়ার সঙ্গে ৷
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিধানসভায় অসভ্যতা করলে সংসদীয় রীতি ভাঙলে ব্যবস্থা নেবে । এখানে সিটি মারবে, লড়াই করবে, মারপিট করবে, এগুলো সংসদীয় গণতন্ত্র নয় । তাই শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । আর মহুয়া মৈত্র আদনির বিরুদ্ধে বলেছে (লোকসভায়) । তাই প্রধানমন্ত্রীর খারাপ লেগেছে । তাই ব্যবস্থা । সংসদে আওয়াজ তুলে তর্ক করছে বলে শাস্তি । আর এখানে রাজ্য বিধানসভায় অসভ্যতা করেছে বলে ।’’
এদিন মহুয়া প্রসঙ্গে লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল সংসদের পাশে দাঁড়ান । এই বিষয় ফিরহাদ বলেন, ‘‘সকলকেই পাশে দাঁড়াতে হবে, যাঁরা গণতন্ত্র মানেন । না হলে কোনও সাংসদ ভবিষ্যতে কিছু বলতে পারবে না । আমরা কেউ রাস্তার ঝগড়া মারধর করতে যাই না লোকসভা, বিধানসভায় । না পোষালে বেরিয়ে যাব বিধানসভায় কক্ষ থেকে । অসভ্যতার জেরে বিএ কমিটির কাজ ক্ষতি হচ্ছে । এখানে স্পিকার সক্রিয় বিধানসভার কাজ রক্ষা করতে । ওখানে স্পিকার সক্রিয় সাংসদদের মুখ বন্ধ করতে ।’’
আরও পড়ুন: