কলকাতা, 6 নভেম্বর: পৌরনিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে 20 ঘণ্টার কাছাকাছি তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেছিলেন, "আমি কি চোর ? কেন সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে ।" আর আজ সেই একই দুর্নীতির তদন্তে কমারহাটি পৌরসভায় চেয়ারম্যান গোপাল সাহা ও বরাহনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি । সেই প্রসঙ্গে এ বার সুর নরম ফিরহাদের । তিনি বললেন, "তদন্ত করুক যখন সন্দেহ হয়েছে । তদন্তে কোনওদিনই আপত্তি করিনি ।"
গোপাল সাহা এবং অপর্ণা মৌলিককে তলবের বিষয় মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "তদন্ত করুন ৷ আমরা এই বিষয় নিয়ে কিছু বলব না । এই ভাবে ডাকলে পৌরসংস্থার কাজের অসুবিধা হচ্ছে । মানুষের কাজ ব্যাহত হচ্ছে । কিন্তু তদন্ত দরকার । প্রকৃত সত্য যাতে সামনে আসে । সব জায়গায় দুর্নীতি হয় না ।"
আরও পড়ুন: কালীপুজো থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নামার বার্তা তৃণমূল বিধায়কের, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের
বিরোধী বামেদের কটাক্ষ করে এ দিন ফিরহাদ বলেন, "এদের কিছু নেই ৷ এরা ভাবছে এটা দিয়ে কিছু যদি করা যায় । এই দুর্নীতি 2006 সাল থেকে হচ্ছে ।" অর্জুন সিং-এর মন্তব্যের জবাবে মেয়র বলেছেন, "আমিও 2000 সাল থেকে কাউন্সিলর ছিলাম । ঘরে ঢোকেনি তো । দেশের একটাই স্লোগান ইন্ডিয়া বাঁচাও বিজেপি হটাও ।"
এ দিন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ডহারবার আসনে দাঁড়ানোর ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন ৷ সে বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, "ভোট কাটার যাঁরা চেষ্টা করছেন, তাঁদের কোনও লাভ হবে না । যাঁরা 100 দিনের কাজের জন্য লড়াই করবেন, তাঁদেরকেই মানুষ ভোট দেবেন । এইসব করে কোনও লাভ হবে না ।"
'নগদের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন' কাণ্ডে অধীর চৌধুরী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ানোয় তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে ৷ তবে তাকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেন, "আপনারা আগে থেকে কী করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন ।"