কলকাতা, 17 ডিসেম্বর : নির্বাচনের আগে দলের 'ভাঙনকে' গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এবার তারই প্রতিফলন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের গলায় ৷ "তৃণমূল কংগ্রেস একটা সমুদ্র ৷ আর সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে কোনও প্রভাব পড়ে না ৷" যখন রাজ্যর প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে মাতামাতি করছে তখন এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম ।
কোরোনা পরিস্থিতির জেরে এখনও ঘোষণা করা যায়নি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ৷ তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি । একের পর এক তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বেসুরো হাওয়াতে তাল কাটছে তৃণমূলের অন্দরমহলে । ঘর সামলাতে নেত্রী যখন উত্তরবঙ্গে, ঠিক তখনই বিধানসভায় এসে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী । ইস্তফা দেওয়ার পরেই গাড়ি নিয়ে সোজা রওনা দেন বর্ধমান । গতকাল সন্ধায় কাঁকসায় সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠক করেন । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, স্বপন বাউরি, বিশ্বজিৎ কুণ্ডুরা ।
আরও পড়ুন : জিতেন্দ্রকে ফোন ফিরহাদের, আগামীকাল বৈঠক
শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা ও সন্ধায় সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকের প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে সমুদ্রের কোনও সমস্যা হয় না । কারও ইচ্ছে হলে সে দল ছেড়ে চলে যেতেই পারেন । কেউ কারও সঙ্গে বৈঠক করতেই পারেন । সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় ৷ সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না ৷ তবে কে এল, দলের থেকে কে গেল তাতে তৃণমূলের মত একটা সর্বভারতীয় দল বিশেষ ভাবে না ।"
তিনি আরও বলেন, "মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণ আন্দোলনের ফল হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন । বাংলার মানুষের আশা-ভরসা তৃণমূল কংগ্রেস । আমরা সেই দলের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি । দলের প্রতিনিধি হওয়ার জন্যই মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেন ।"