কলকাতা, 16 ডিসেম্বর: দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলার অর্থনৈতিক চাবিকাঠি যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) । তাই, পুজোয় সরকারি অনুদান প্রদান বিষয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি । বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজোকে ইউনেসকোর স্বীকৃতির বর্ষপূর্তিতে কলকাতার টাউন হলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে । সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার উপস্থিত ছিলেন ।
কলকাতার দুর্গাপুজোর ইউনেসকোর স্বীকৃতি যার হাত ধরে এসেছে, সেই তপতী গুহ ঠাকুরতাও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, "পুজোকে বাংলার মিলন উৎসবে পরিণত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । 11 বছর ধরে ক্রমশ উৎসাহ দিয়ে বাংলার পুজোকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন তিনি । কেউ কেউ এটাকে সমালোচনা করছেন । কেন পুজো কমিটি গুলোকে 50 হাজার, 60 হাজার টাকা দেওয়া হবে । অথচ, তাঁরা বুঝতে পারছেন না কীভাবে দুর্গাপুজোর মধ্যে টাকার রোলিং হয় । কিন্তু, তপতী গুহ ঠাকুরতা বুঝতে পেরেছিলেন । ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি ইউনেসকো-কে লিখেছিলেন বলেই এই স্বীকৃতি মিলেছে । তাই, তপতী গুহ ঠাকুরতাকে ধন্যবাদ জানাই ।"
আরও পড়ুন: কলকাতার হেরিটেজ দুর্গাপুজো দেখতে শহরে ফরাসি ইঞ্জিনিয়াররা
গত বছর 15 ডিসেম্বর ইউনেসকোর তরফে ঘোষণা করা হয়, কলকাতার দুর্গাপুজো 'ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি' (Intangible cultural heritage of Humanity) আওতাভুক্ত । ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এই দিনটি উদযাপন করার জন্য 'স্বীকৃতির উৎসব' করেছে কলকাতার টাউন হলে ।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, "15 ডিসেম্বর দিনটি পুজো উদ্যোক্তাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে । স্বীকৃতি ঘোষণার খবর আসার পর সেদিনের আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভোলবার নয় । ইউনেসকোর এই স্বীকৃতিকে পাথেয় করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই ।"